জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নে প্রকাশ্য দিবালোকে কাওসার নামে এক যুবকের দায়ের কুপে নিহত মুক্তি রানি বর্মনের বড় বোন নিপা বর্মনকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত শাখায় আউট সোর্সিং পদে চাকুরী প্রদান করা হয়েছে। মুক্তি রানি বর্মণ নিখিল বর্মণের কন্যা।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ নিহত মুক্তির বড় বোন নিপা বর্মণকে তার অফিসে এই পদে নিয়োগ প্রদান করেন। এই চাকুরী পাবার পর নিপার বাবা-মা জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন।
এই সময় জেলা প্রশাসকের অফিসে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন খন্দকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অনিমেষ সোম, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাজহারুল ইসলাম, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বারহাট্টা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা সেন্টু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সিতাংশু বিকাশ আচার্য, সম্পাদক লিটন পন্ডিত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত রায় মানিক এবং নিপার বাবা নিখিল বর্মণ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, এই পরিবারের অসহায়ত্ব দেখে এবং চাকুরীর সকল নিয়ম কানুন মেনেই মানবিক কারণেই মুক্তিকে চাকুরী প্রদান করা হয়েছে। নেত্রকোণার সকল স্তরের মানুষেরও দাবী ছিল এই পরিবারকে সহায়তা করা।
উল্লেখ্য, নেত্রকোণার বারহাট্টার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী মুক্তি বর্মণকে একই এলাকার কাওসার নামে এক যুবক গত ২ মে বিকালে ধারালো দা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে। এই খুনের ঘটনায় সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠে। পরে ডিবি পুলিশ অধিক তৎপরতা চালিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আসামী কাওসারকে পাশের একটি জঙ্গল খেকে আটক করে এবং কাওসার প্রাথমিকভাবে এই খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করে। মুক্তির পিতা বারহাট্টা থানায় কাওসারকে আসামী করে মামলা দায়েরও করেন। কাওসার বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
নিহত মুক্তির বোনকে চাকুরী প্রদানের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মুক্তি রানীর ভাই-বোনেরা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে যেন কোন বেগ পেতে না হয়, তারা যেন অসহায়ত্ববোধ না করে সেই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকেই মুক্তি রানী বর্মণের বড় বোনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবারটি অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সাপোর্ট পাবে। প্রশাসন সবসময়ই সুনজর রাখবে। মুক্তি রানী হত্যার ঘটনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে চাকরির সঙ্গে মানবিকতার দায়িত্বও রয়েছে আমাদের। আমরা চাই নিহত মুক্তি রানী বর্মণের মতো আর যেন কাউকে এভাবে জীবন দিতে না হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।