×

মুক্তচিন্তা

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কেন বিদেশে প্রশংসিত হয়?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ০১:৪৭ এএম

বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষ করে এখন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি জাপান সরকারের আমন্ত্রণে টোকিওতে চার দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ছিলেন। সেই সফরকালে জাপান সরকার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। দুই দেশের সঙ্গে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আরো ১১টি স্মারক চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। জাপান সফরকালে জাপানের সম্রাট, প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়ন সংস্থা ও ব্যবসায়িক নানা গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সৌহার্দ এবং সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীসহ সব মহলই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ওয়াশিংটনে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দ্য রিজ কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে আইএমএফের প্রধান বলেন, ‘সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন, দক্ষ যোগাযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা এই প্রথম নয়, বরং তার রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বহুবার বহুদেশে সরকার প্রধানদের মুখ থেকেই উচ্চারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রশংসা মানের তুলনায় কিছুটা কম অবস্থানে থাকলেও প্রায় সব উন্নয়ন সংস্থাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক নানা ক্ষেত্রে যেসব বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে সেগুলোর কৃতিত্ব সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রদান করে আসছে। এটি স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিকল্পনা, দূরদর্শিতা এবং জনগণের কল্যাণোপযোগী অবকাঠামো গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি অন্য সবার চেয়ে বেশি প্রদর্শন করতে পেরেছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের তেমন যোগ্যতার অভাব যেসব দেশে ঘটেছে সেসব দেশ কাক্সিক্ষত মানে এগিয়ে যেতে পারেনি। শুধু অর্থই রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান সহায়ক নয়, বরং ভিশনারি-মিশনারি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া দৃশ্যমান উন্নতি ও পরিবর্তন ঘটানো মোটের ওপর অসম্ভব ব্যাপার। স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজনৈতিক সরকারের নেতৃত্ব সব অর্থেই ছিল ভিশনারি, মিশনারি এবং যোগ্যতায় অনেক স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক নেতৃত্বের চেয়ে বেশ সফল। বাংলাদেশে সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং তার সহযোগীদের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধকে সফল করতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু যেসব প্রতিকূলতাকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন সেগুলোর ঐতিহাসিক অবস্থান নিঃসন্দেহে এখন সব বিবেচনাতেই অসীম ছিল। যেখানে সারা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ আশঙ্কা করেছিলেন এমন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে হয়তো পারবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এবং তার সরকারের পরিকল্পনা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার কারণেই সেই মহাসংকট অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই লাভ করেছিল। এরপর বাংলাদেশে অনেক বৈধ অবৈধ সরকারই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আর্থসামাজিক উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় তার অনেক কিছুই তাদের আমলে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। সেই সময় দেশের আর্থসামাজিক এবং রাজনীতিতে জট পাকানো বহু সমস্যার তিনি সমাধান দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তিনি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে গভীর সংকটে প্রায় ৮ বছর অতিবাহিত করেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ’ নামে ‘২০২১ রূপকল্প’ জাতির সম্মুখে উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি সরকার গঠন করার পর দেশে বিদ্যুৎ, খাদ্য, যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রাণিজসম্পদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে যেসব নীতি ও কৌশলের প্রয়োগ করেছিলেন তার ফলেই বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে নিজের পায়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত্তি রচনা করেছে। এই সময় অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এখন তার উন্নয়ন চিত্রটি সারা বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান করতে পেরেছে। বাংলাদেশে এখন দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে, অতি দারিদ্র্য ৫ শতাংশের মধ্যে নামানো গেছে। বিশ্বে দুবছরের অতিমারি করোনা সংকট এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ হেলে পড়েনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশে সব ক্ষেত্রে যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পেরেছে তার ফলেই আমাদের রাষ্ট্রের চলার গতি স্তব্ধ হয়ে যায়নি, বরং অনেকটা স্বাভাবিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে চলতে পেরেছে। অনেক রাষ্ট্রই গত ৩-৪ বছরের করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এটি আমাদের সবার কাছেই জানা। সেই তুলনায় আমরা অপেক্ষাকৃতভাবেই সচল অর্থনৈতিক জীবনযাত্রা নিয়ে অগ্রসর আছি বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোই জানান দিচ্ছে। বাংলাদেশ যদি এই সময়ে স্বাভাবিক গতি নিয়ে চলতে না পারত, তাহলে জাপান সরকার এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করতে যেত না। বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ নতুন করে এতসব নতুন নতুন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দানে এগিয়ে আসার কথা ভাবত না। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশই তীর্থের কাকের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছে কিন্তু সেভাবে সাড়া পাচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে এখন বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের যেন ঋণ প্রদানের মেলা বসেছে। শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে যেসব মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, সেগুলোর কথা আমরা এর আগে ভাবতেও পারিনি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু আমরা করতে পেরেছি। এর কৃতিত্ব শেখ হাসিনাকে সবাই দিচ্ছে। এ ধরনের দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব ছাড়া এমন বিশাল কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে আদৌ সম্ভব হতো কিনা অনেকেই তা ভাবতে পারছেন না। এই সময়ে যেসব বড় বড় মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তার ফিরিস্তি সবারই জানা আছে। কিন্তু কোনো প্রকল্পই থেমে যায়নি কিংবা মাঝপথে রণেভঙ্গ দিতে হয়নি। বাংলাদেশকে নিয়ে শেখ হাসিনা যখন ‘রূপকল্প ২০২১’ উপস্থাপন করেছিলেন, তখন অনেকে চিন্তাই করতে পারেননি ২০২১ সালে কী ঘটানো সম্ভব হবে। কিন্তু ২০২১-এর আগেই বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিজিটালাইজেশনসহ অনেক কিছুই বাস্তবে দৃশ্যমান হয়ে গেল। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। আমরা এখন মন্দা কিংবা দুর্ভিক্ষের কোনো জুজুর ভয় বা আশঙ্কাই করছি না। শেখ হাসিনাই এখন আমাদের সম্মুখে ‘রূপকল্প ২০৪১’ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। এটিকেই বলা হয় ভিশনারি-মিশনারি নেতৃত্ব। সেই নেতৃত্ব স্বাধীনতা লাভের জন্য যেমন বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে দেখিয়ে আসছেন। তার ফলাফল এখন আমরা হাতেনাতে পাচ্ছি। এটি তিনি না দেখাতে পারলে আমাদের মাথাপিছু আয় বছরে ৫০০-৬০০ ডলারের মধ্যেই ঘুরপাক খেত হয়তো, দেশ অন্ধকারেই থাকত, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো যেমন যেত না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও থেমে যেতে বাধ্য হতো, গোটা সমাজব্যবস্থাই এখন স্থবির কিংবা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকত- এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের সক্ষমতা তৈরি করেছে, যার ভিত্তিতে এখন বাংলাদেশ এই অঞ্চলের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইতিহাসে জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকার একটি শিক্ষা রয়েছে। ভিশনারি-মিশনারি রাজনৈতিক নেতৃত্বই কেবল পারে জনগণকে সঠিকপথে পরিচালিত করতে। তেমন নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে অনেক জাতি এবং রাষ্ট্র বর্তমান যুগেও সভ্যতার তলদেশে পড়ে আছে। যদি সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেসব দেশে ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ পেত, তাহলে ওই সব রাষ্ট্র এবং জনগণ অনেক আগেই উন্নয়নের শিখরের পথে এগিয়ে যেতে পারত। ইতিহাস ও রাষ্ট্র নির্মাণে জনগণের ভূমিকা আছে কিন্তু মেধাবী, দেশপ্রেমিক এবং জনগণের কল্যাণকামী রাজনৈতিক নেতৃত্বই জনগণকে তাদের প্রত্যাশিত জীবনব্যবস্থা উপহার দেয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে পারে। শেখ হাসিনা আমাদের ’৭৫-পরবর্তী রাজনৈতিক নেতৃত্বশূন্যতার জায়গাটি ১৯৮১ সালের পর ধীরে ধীরে পূরণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। নানা চড়াই-উতরাই পার এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমে তিনি ১৯৯৬-২০০১ কালে তার সম্ভাবনাকে দৃশ্যমান করেছেন, ২০০৯-এর পর থেকে নেতৃত্বের একটি হিমালয়সম উচ্চতা তৈরি করতে পেরেছেন, যার ফলে বাংলাদেশকেও তিনি উন্নয়নের পাদদেশ থেকে উচ্চতর শিখরে তুলে আনার বড় বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা কেবল শত্রæপক্ষই অস্বীকার করতে পারে। এদিক থেকে শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিকাশমান পরিবর্তনশীল বিশ্বের অন্যতম প্রধান জাতিরাষ্ট্রের রাষ্ট্র নির্মাতা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। শেখ হাসিনাও সেই রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক জীবনব্যবস্থায় পরিবর্তনের আরেকজন স্বপ্নদ্রষ্টা বাস্তবায়নকারী নেতা হিসেবে দেশ ও বিদেশে স্বীকৃতি পাচ্ছেন। অনেকেই শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের এসেট (অংংবঃ) হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। ১৯৮১ সালের পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত এবং রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। সেই হিসেবে তিনি অবশ্যই আওয়ামী লীগের এসেট। তাকে ছাড়া আওয়ামী লীগ কতটা সংগঠিত কিংবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদানে কতটা সক্ষম হয়ে উঠত সেটি বলা কঠিন। কিন্তু শেখ হাসিনা ৪২ বছরে শুধু আওয়ামী লীগেরই এসেট হয়ে ওঠেননি, তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এই সময়ের অপ্রতিদ্ব›দ্বী রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারপ্রধান হিসেবেও নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি এই সময়ে নিজেকেও একজন বিশ্বমানের রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারপ্রধানের মর্যাদায় আসীন করতে পেরেছেন। তার মধ্যে দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, জনকল্যাণবাদী রাজনৈতিক চিন্তা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করার ক্যারিশমা দেখা গেছে, যা আমাদের জন্য অপরিহার্য ছিল। বাংলাদেশ তার কাছ থেকে সেসব পেয়েছে বলেই এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব মানচিত্রে মর্যাদার এমন আসন করে নিতে পেরেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন এভাবে নিজেকে অতিক্রম করতে পারে, দলের সীমানা অতিক্রম করে রাষ্ট্রকে সব নাগরিকের জন্য উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধির হাতছানি দেখাতে পারে, তখনই সেই নেতৃত্ব জাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের পরিচয়ে নয় বরং বাংলাদেশের পরিচয়ে বিশ্বে সমাদৃত, বাংলাদেশকেও তিনি সেভাবে তুলে ধরার মেধা ও প্রজ্ঞা দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। যতদিন তার এই অবস্থান তিনি বজায় রাখতেন পারবেন, ততদিন তিনি দেশ পরিচালনায় জনগণের সমর্থন নিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করলে আমাদের রাষ্ট্র এবং জনগণ সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। তাকে অনুসরণ করে অন্যরাও যেন ভিশনারি-মিশনারি নেতৃত্ব প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করে সেটি আমাদের এখন অন্যতম প্রত্যাশা হিসেবে রইল। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App