×

জাতীয়

মেয়ে হত্যার বিচার পেতে ১০ বছর আদালতে ঘুরছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ০৩:১০ পিএম

মেয়ে হত্যার বিচার পেতে ১০ বছর আদালতে ঘুরছি

ছবি: ভোরের কাগজ

২০১৩ সালে যৌতুকের জন্য হত্যার শিকার হন মনিরা পারভীন। প্রায় ১০ বছর ধরে মেয়ে হত্যার বিচার পেতে আদালতে ঘুরছেন মনিরার বাবা মো. মোস্তফা।

রবিবার (৭ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন নথি প্রস্তুত না হওয়ায় রায় পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে ৭ বার রায় পেছাল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মনিরার বাবা হত্যা মামলার বাদী মো. মোস্তফা বলেন, যৌতুকের জন্য নির্মমভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি মেয়ের বিচারের জন্য ১০ বছর ধরে আদালতে ঘুরছি। কিন্তু এখনো বিচার পেলাম না। আজকে রায়ের দিন থাকলেও পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে ৭ বার রায় পেছানো হলো। মেয়ে হত্যার বিচার পেতে আর কতো দেরি করতে হবে।

মনিরার বাবা আরো বলেন, আমি অটো চালাই। আসামির লোকজন কখন আমাকে খুন করে এ ভয়ে থাকি। তারা রাজনীতি করে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- মনিরার স্বামী নাসির হোসেন, ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসিরের চাচা দিন ইসলাম। এরা সবাই জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫ টার মনিরা ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবার তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন লোকমুখে জানতে পারেন নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে তাকে বিয়ে করেছে। এ কথা শোনার পর মনিরার বাবা মোস্তফা নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে ফেরত দেয়ার অনুরোধ করেন। তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা-মেয়েকে খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন নাসির মনিরাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার সাথে সাথে নাসিরের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারপিট, কিল, ঘুষি, মাথার চুল টেনে গুরুতর জখম করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন।

পরে স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন সকালে মারা যান মনিরা।

এ ঘটনায় ২২ জুন মনিরার বাবা মোস্তফা খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাসিরের বাবা, মা, চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App