×

সারাদেশ

নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে হলো আধুনিক হাসপাতাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩, ০৭:০৬ পিএম

নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে হলো আধুনিক হাসপাতাল

ছবি: ভোরের কাগজ

প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র রোগীসহ সর্বসাধারণের স্বল্প খরচে সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রত্যয় নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যাত্রা শুরু করলো আধুনিক মানের ‘আমিশাপাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল।

শনিবার (৬ মে) দুপুরে ফিতা কেটে ৫ তলা ভবনে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

এসময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর ইউসুফ, সোনাইমুড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাসপাতালের চেয়ারম্যান শামস মো. তারেকের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সুধীজনের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাসপাতালটির প্রধান উদ্যোক্তা আজাদুল ইসলাম স্বপনসহ সুধীজন বক্তব্য রাখেন। এসময় ব্যবসায়ীসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিতি ছিলেন।

হাসপাতালটির চেয়ারম্যান শামস মো. তারেক বলেন, আমিশাপাড়া বাজারে ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে আমাদের আধুনিক মানের ‘আমিশাপাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জরুরি বিভাগের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে দেশের যেকোনো বড় শহরের মতোই রোগীদের সেবা দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অসহায় দুস্থ রোগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অল্প খরচেই এই হাসপাতালের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন রোগীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, স্বাস্থ্যখাত ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকে। আমরা সাধারণ মানুষ ভাল থাকি। শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। কিভাবে মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা আমাদের শিখিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এখন উন্নত সেবা পাওয়া যায়। যেহেতু এই এলাকা থেকে সরকারি হাসপাতালের দূরত্ব রয়েছে তাই প্রাইভেট হাসপাতালের প্রয়োজন ছিল।

প্রসঙ্গত, জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এই অঞ্চেলের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার, অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৮ কিলোমিটার দূরে। ফলে বিভিন্ন সময়ে যানবাহন ও চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয় মানুষ। জেলা শহরে যাওয়ার পথে অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এমতাবস্থায় একটি হাসপাতাল গড়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App