×

সারাদেশ

আশাশুনিতে স্লুইস গেটের মুখে পলি জমে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩, ১১:৩২ এএম

আশাশুনিতে স্লুইস গেটের মুখে পলি জমে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা

আশাশুনির কালকী স্লুইস গেটের মুখে পলি মাটি জমে এভাবে ভরাট হয়ে আছে। ছবি: এস. কে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত কালকী স্লুইস গেটের মুখে পলি জমে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে এলাকা ফসলী জমি নষ্ট ও গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে থাকে।

পুরো বড়দল ইউনিয়ন লবণ পানি মুক্ত, এখানে কোন লোনা পানির মৎস্য চাষ হয় না। বর্ষা মৌসুমে বিলের ও গ্রামের পানি কপোতাক্ষ নদে নিষ্কাশন করা হয়ে থাকে। অন্য মৌসুমে অধিকাংশ জমি পতিত থাকে এবং এলাকায় ব্যাপকভাবে গবাদি পশুর পালন হয়ে থাকে। এই বিল বর্ষা মৌসুম বাদে গবাদি পশু চারণ ভূমি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গেটের মুখে পলি মাটি জমে গেটের মূল প্রবেশ পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের বিল গুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গেটের কপোতাক্ষ নদের ভিতরের অংশে অতিরিক্ত পলি মাটি জমে গেটে পানি প্রবেশ মুখ সম্পূর্ণ আর পুনঃখনন করা হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, ফটিকখালী, খালিয়া, রাউতাড়া, পিরোজপুর, দূর্গাপুর, গজুয়াকাটি, চেউটিয়া এলাকা ও বড়দল ইউনিয়নের কিছু অংশের হাজার হাজার বিঘা ধানের জমি ও মৎস্য ঘেরের পানি নিঃষ্কাশনে একমাত্র এই স্লুইস গেটটি ব্যবহার করা হয়। বিকল্প আর কোন ব্যবস্থা না থাকায় এবার বর্ষা মৌসুমে চরম মূল্য দিতে হবে কৃষকদের। যার ফলে এই এলাকার একমাত্র ফসল আমন ধান চাষ চরম ভাবে ক্ষতিরমুখে পড়বে।

বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদিশ চন্দ্র সানা জানান, কালকীর স্লুইস গেটের মুখের পলি অপসারন না করলে বড়দল ও খাজরা অঞ্চলের মানুষ বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি মুখে পড়বে। তিনি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম ফটিকখালী পরিমল দর্জির বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টটি পূনরায় চালু করে মৎস্য ঘেরের পানি সরবরাহের ক্যানেলটি ব্যবহার করার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App