×

সারাদেশ

আখাউড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩, ১১:১৫ এএম

আখাউড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি: আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও তার নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত শহিদা আক্তার খুকি উপজেলার ছয়গড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও জেলার কসবা উপজেলার ধজনগর গ্রামের শাহীন মিয়ার স্ত্রী। তারা আখাউড়া পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

জানা যায়, শুক্রবার সকালের দিকে খুকিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক ডা. ফারিয়া সুলতানা তাকে স্বাভাবিক প্রসব করানোর পরামর্শ দেন। দুপুর ১২টার দিকে একটি ছেলে শিশু জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর পরই মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িযা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ সময় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও নবজাতক সন্তানকে মৃত ঘোষণা করে। তবে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন ডাক্তারের সময়ক্ষেপণ, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণেই মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত খুকির চাচা উপজেলার ছয়গরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, বাচ্চা প্রসব করানোর সময় তারা ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলে। যার কারণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। এভাবে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। পরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না করতে পেরে তারা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালকও টাকা দাবি করে বসে থাকে ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণেই আমার ভাতিজি ও তার নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে রোগীকে আমাদের এখানে নিয়ে আসে। আমাদের ইমার্জিন্সি চিকিৎক ডা. ফারিয়া তাকে ভর্তি দেয়। রোগী স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করে। হঠাৎ করেই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ সময় রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আমাদের এখানে যেহেতু ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই, তাই আমরা তাড়াতাড়ি রোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। কিন্তু রোগীর স্বজনরা রোগীকে প্রাইভেট একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে দেরি হয়। এ সময় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। পরে তারা রোগীটাকে আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আর জন্মের পর পরই বাচ্চার অবস্থা খারাপ ছিল। পরে বাচ্চাটাও মারা যায় ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App