×

মুক্তচিন্তা

হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ১২:৪২ এএম

হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মো. শাহীনকে বাঁচানোর আশা নিয়ে তার স্বজনরা এসেছিলেন ঢাকায়। মুমূর্ষু শাহীনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাতভর তারা ঘুরেছেন এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে। কিন্তু কোথাও তাকে ভর্তি করতে পারেননি। অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মারাই গেলেন শাহীন। শাহীন এক হতদরিদ্র নাগরিক। গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মোটবি ইউনিয়নে। ৩৮ বছর বয়সি শাহীন এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। গাছের সঙ্গে ধাক্কায় তার মাথার একাংশ থেঁতলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহীনকে প্রথমে ফেনী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার জীবন বাঁচানোর জন্য এই হাসপাতালের চিকিৎসা-সরঞ্জাম যথেষ্ট নয়। তারা দ্রুত রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। এ অবস্থায় অক্সিজেন লাগিয়ে শাহীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি করা যায়নি। কারণ এই রোগীর জন্য যে আইসিইউ সুবিধা দরকার, সেই শয্যা চট্টগ্রাম মেডিকেলে ফাঁকা নেই। তখন শাহীনকে শহরের সিএসটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা আছে। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা অন্য কোথাও নিতে। কিন্তু শাহীন একেবারেই হতদরিদ্র। গ্রামে তাদের ঘর-ভিটাও নেই। শাহীন ছিলেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে আরেকজনের বাড়িতে থাকতেন তিনি অন্যের বাড়ির পরিত্যক্ত রান্নাঘরে স্ত্রী-সন্তান আর বাবাসহ আশ্রয়ে আছেন। সব শুনে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ শাহীনকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে ঘণ্টায় ৭৮ হাজার টাকা বিল আসে। কর্তৃপক্ষ ছাড় দিয়ে এই বিল ৬০ হাজার টাকা করে। স্বজনরা দোটানায় পড়েন শাহীনকে বাড়ি নেবেন, নাকি ঢাকায় আনবেন। অবস্থা এমন অক্সিজেনের সংযোগ খুলে ফেললেই রোগী মারা যাবেন। স্বজনরা ভাবলেন, শাহীন বাঁচার জন্য লড়াই করছেন। অক্সিজেন খুলে কেন তাকে মেরে ফেলা হবে। তারা ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে রওনা হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহীনকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এসে দাঁড়ায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ভেতরের ফটকে। শাহীনের স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসকরা জানান, তাদের আইসিইউর শয্যা খালি নেই। স্বজনদের পীড়াপীড়িতে একজন চিকিৎসক অ্যাম্বুলেন্সে এসে শাহীনকে দেখে যান। অবস্থা দেখে তিনি পরামর্শ দেন রোগীকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার। এর মধ্যে কেটে যায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা। হতাশ হয়ে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেলে যান। শাহীনকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তাৎক্ষণিক অক্সিজেনের সহায়তা দিতে সেখান থেকে একটি সিলিন্ডার কেনা হয়। রোগীর অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, তার আইসিইউ সুবিধা লাগবে। এই মুহূর্তে কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। শাহীনকে আবার ঢোকানো হয় অ্যাম্বুলেন্সে। হন্যে হয়ে স্বজনরা নানা মাধ্যমে এই হাসপাতাল, ওই হাসপাতালে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শাহীন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন। তখন মধ্যরাত। ফেনী থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকায়। এরপর শাহীনকে কোথায় নেবেন? এক মাধ্যমে স্বজনরা খবর পান, ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি আছে। রাত দেড়টায় তাকে নেয়া হয় সেখানে। স্বজনদের ধারণা ছিল, বাকি রাত বা পরদিন দুপুর পর্যন্ত ১০-১২ হাজার টাকা গেলেও বুধবারে একটা ব্যবস্থা হবেই। রোগীর অবস্থা দেখে তারাও ভর্তি করতে গড়িমসি করেন। বললেন, একদিনে চিকিৎসাসহ আনুষঙ্গিক মিলে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ পড়ে যাবে। ঢাকার কোনো হাসপাতালেই শাহীনের জায়গা হয়নি। হতাশা নিয়ে স্বজনরা রাত দেড়টায় আবার ফেনীর উদ্দেশে রওনা দেন। ভোর ৫টার দিকে তারা ফেনী সদর হাসপাতালে পৌঁছান। শেষ চেষ্টা হিসেবে শাহীনকে সেখানে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হন স্বজনরা। তবে শাহীনকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অক্সিজেন দিয়ে রাখা যায়- এটুকুই। কিন্তু ভর্তি করা যায়নি। সব চেষ্টা বিফলে যায়। কোথাও ঠাঁই না পাওয়া শাহীন দুপুর ১২টায় ফেরেন নিজ গ্রামে। জীবনযুদ্ধে হেরে বেলা সাড়ে ৩টায় চিরবিদায় নেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাব্যবস্থায় গরিব মানুষরা যে কতটা অসহায়, তা বুঝিয়ে দিলেন শাহীন। মাথায় আঘাত পাওয়া মো. শাহীনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। আঘাত এত গুরুতর ছিল যে হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় রেখে তার চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। নিজের শহর ফেনীর সরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়নি। পাশের জেলা চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি ছিল না। তাকে ঢাকায় আনা হয়। চিকিৎসা না পেয়ে ফেনীতে ফেরত নেয়ার পর গত বুধবার তিনি মারা যান। শাহীনের জন্য আইসিইউ শয্যাসংকট বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জানা গেছে, দেশের কমপক্ষে ২২ জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নেই। শাহীনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার রুগ্ণ চেহারা আবারো সামনে চলে এসেছে। দেশে দুর্ঘটনা বাড়ছে, জটিল রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে আইসিইউ সেবার প্রয়োজনও বাড়ছে। কিন্তু মানুষ প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না। এই সেবা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ। তিন বছর আগে শুরু হওয়া করোনা মহামারির মধ্যেই সরকারপ্রধানের নির্দেশনা ছিল প্রতিটি জেলায় আইসিইউ সেবা চালু করার। মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্লিপ্ততার কারণে জেলায় জেলায় এই সেবা চালু হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ নেই এমন জেলার মধ্যে রয়েছে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, বরগুনা, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, নাটোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, ভোলা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, চুয়াডাঙ্গা ও সুনামগঞ্জ। এছাড়া বাগেরহাট ও মাদারীপুর জেলায় সরঞ্জাম থাকলেও আইসিইউ চালু নেই। রাজধানীর একাধিক বড় সরকারি হাসপাতালেও এই শয্যা নেই। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল) ১ হাজার শয্যার। সারাদেশের গুরুতর আহত রোগী প্রতিদিন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। জানা গেছে, এই হাসপাতালে কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। জাতীয় নাক-কান-গলা হাসপাতালেও এ ধরনের কোনো শয্যা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ছিল ৫৪৮টি। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে শয্যা ছিল ৩৪৮টি। অর্থাৎ মোট শয্যা ছিল ৮৯৬টি। গত দুই বছরে সরকারি হাসপাতালে আরো আইসিইউ শয্যা যুক্ত হয়েছে। ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার করে আইসিইউ চালু করা হয়েছে। একইভাবে ১৩টি জেলা হাসপাতালে ১০ শয্যা করে আইসিইউ চালু করা হয়েছে। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা এখন ১ হাজার ১২৬টি। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিরা বলছেন, বেসরকারি পর্যায়ে এমন শয্যা আছে আরো প্রায় ১ হাজার। সরকারের লক্ষ্য ছিল, সব জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ চালু করার। করোনা মহামারির সময় সব জেলায় আইসিইউ চালু করা হয়েছিল। প্রায় ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তখনকার আইসিইউকে এখন কাজে লাগাতে কোনো অসুবিধা নেই। ১০ শয্যার আইসিইউ শয্যা চালু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সেবা চালু থাকবে সপ্তাহে ৭ দিনের ২৪ ঘণ্টা। এতে থাকবে ৯টি অত্যাবশ্যকীয় সেবা ও ৪টি ঐচ্ছিক বা বাড়তি সেবা। ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকবেন ১৩ জন ও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসক থাকবেন ৭ জন। সার্বক্ষণিক নার্স থাকবেন ১৬ জন। অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন আরো ১৬ জন। কেন্দ্র চালাতে ছোট-বড় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম লাগবে মোট ৬৩ ধরনের। আর ওষুধ লাগবে ৪৯ ধরনের। আইসিইউ শয্যা আছে এমন প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রোগীর লম্বা সারি দেখা যায়, মানুষ অপেক্ষায় থাকে কখন একটি শয্যা খালি হবে। যারা সরকারি হাসপাতালে চেষ্টা করেও শয্যার ব্যবস্থা করতে পারেন না, তারা যান বেসরকারি হাসপাতালে। বেসরকারি হাসপাতাল যত বড়, তার আইসিইউর খরচ তত বেশি। এই ব্যয় অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। অনেকে অর্ধেক পথে চিকিৎসা বন্ধ করেন, অনেকে চিকিৎসা নেয়া থেকে বিরত থাকেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া শাহীন ফেনী, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও কোনো আইসিইউ শয্যা খালি না পেয়ে বলতে গেলে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। সরকারের নীতিনির্ধারকরা দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দেন, যার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুব কমই আছে। ২২ জেলায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই। মারাত্মক অসুস্থ, জীবন বিপন্ন এমন রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ দরকার হয়। বেসরকারি হাসপাতালে এ বিশেষায়িত সেবার খরচ অনেক বেশি। ফলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ তো বটেই, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের পক্ষে সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। করোনা মহামারির সময় দেখা গেছে দেশে আইসিইউ সমস্যা কত প্রকট। সেই সময় কোনো কোনো হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে কিছু আইসিইউ খোলা হয়েছিল। আবার আইসিইউ খুললেই হবে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির জোগানও নিশ্চিত করতে হবে। অনেক হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। ১০ শয্যার একটি আইসিইউর জন্য ১৩ জন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক প্রয়োজন। তিন বছর আগে শুরু হওয়া করোনা মহামারির মধ্যেই সরকারপ্রধানের নির্দেশনা ছিল প্রতিটি জেলায় আইসিইউ সেবা চালু করার। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণে জেলায় জেলায় সেই সেবা চালু হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এ দুর্ভাগ্য দেশবাসীকে আর কত দিন বয়ে বেড়াতে হবে? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ছিল ৫৪৮টি, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ৩৪৮টি। গত বছর আরো কিছু হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যাও ১ হাজারের মতো হবে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে এ স্বাস্থ্যসেবা খুবই অপ্রতুল। আমরা চাই না আর কোনো শাহীন আইসিইউ সেবা না পেয়ে মারা যান। যেসব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নেই, জরুরি ভিত্তিতে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। কেবল অবকাঠামো দিয়ে তো চিকিৎসা হয় না। প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর আসে বছরের বছর যন্ত্রপাতি হাসপাতালে পড়ে থাকে, বসানো হয় না। বসানো হলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে কাজে লাগানো যায় না। সরকারপ্রধানের নির্দেশনা কেন উপেক্ষিত হলো, এর জন্য কারা দায়ী, সেটাও চিহ্নিত হওয়া প্রয়োজন। সরকারের উচিত সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ নেয়া। বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ কোনো ফল দেবে না।

রেজাউল করিম খোকন : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App