ফের কমলো টাকার মান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০৮:২৪ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ১৫তম বারের মতো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির রেট দেড় টাকা বাড়িয়েছে। এ অর্থবছরে টাকার সবচেয়ে বড় অবমূল্যায়ন এটি। ডলার বিক্রির নতুন রেট ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির রেট সর্বোচ্চ ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরে ১৫ বারের মধ্যে ৮ বারই ডলারের দাম ১ টাকা করে বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে মার্চ মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর ১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারের বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসে। এ সপ্তাহে আকুর আরেকটি বিল পরিশোধের পরে রিজার্ভ আরো কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে গত এপ্রিলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির রেট ১ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে গত মার্চ পর্যন্ত সময়েও প্রতি মাসে ১ টাকা করে ডলারের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২১ শতাংশ। এর ফলে ডলারের রেট ৮৬ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০৪ দশমিক ৫০ টাকা হয়েছে।
রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে: সরকারি বিভিন্ন এলসির পেমেন্টের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ক্রমাগত ডলার বিক্রির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। গত মঙ্গলবার নতুন দামে ৫৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিনশেষে রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বছরখানেক ধরে রিজার্ভ কমার ধারায় আছে। ২০২২ সালের এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অবশ্য এর বড় অংশই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ১১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে আমদানি কম থাকার পাশাপাশি উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২১ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সরকারি কেনাকাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি এলসির দাম পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হয়। রিজার্ভ থেকে রেকর্ড পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বলছে, চাহিদামতো ডলার পাচ্ছে না তারা।