×

খেলা

জিতলে সিরিজ টাইগ্রেসদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০৯:৪৯ এএম

জিতলে সিরিজ টাইগ্রেসদের

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কা নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ মাঠে নামবে টাইগ্রেসরা। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। এর আগে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ। শেষ ম্যাচে জয় পেলে সিরিজ নিজেদের করে নেবে জ্যোতিবাহিনী। আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে এই সিরিজে জয় পাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ টাইগ্রেসদের জন্য। ওয়ানডে সিরিজ শেষে আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

আগের দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে বাংলাদেশ। আর ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে শ্রীলঙ্কা। শেষ ম্যাচে জিততে পারলে পয়েন্ট যোগ হবে টাইগ্রেসদের। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টাইগ্রেসদের দুই ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ফলে টানা চার ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় জাহানারা-রুমানাদের। প্রথম ম্যাচে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংস ব্যাট করতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠেই নামতে পারেনি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত টস না করেই দুই দলকে পয়েন্ট ভাগ করে দেয়া হয়।

প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে পি সারা স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়রা প্রস্তুত ছিলেন একে অপরের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু করার সময় পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে বৃষ্টি যেন থামছিল না কোনোভাবেই। শেষ পর্যন্ত টস হওয়ার আগেই পরিত্যক্ত করা হয় ম্যাচটি। তার আগে গত ২৯ এপ্রিল প্রথম ম্যাচেও হানা দেয় বৃষ্টি। সেই ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে টসে হেরে বোলিং করতে নামে টাইগ্রেসরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই লঙ্কানদের চেপে ধরে টাইগ্রেস বোলাররা। বাংলাদেশের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। ৭ ওভার বল করে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন।

দুই লঙ্কান ওপেনারের বিপরীতে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন জাহানারা আলম। প্রথম বলেই সফলতা পান বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি। তার দুর্দান্ত বল বুঝতে না পেরে লেগ বিফোরের ফাঁদে পা ফেলেন মাধবী। গোল্ডেন ডাক মেরে তিনি সাজঘরের দিকে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসেন বাঁ-হাতি ব্যাটার চামেরি আতাপাত্থু। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন সুলতানা খাতুন।

ওভারটিতে সুলতানার দুর্দান্ত বোলিয়ে এক রানও নিতে পারেননি আতাপাত্থু। তৃতীয় ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন জাহানারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তিনি উইকেট তুলতে না পারলেও রান খরচে ছিলেন যথেষ্ট কৃপণ। জাহানারা-সুলতানার স্পেল থেকে উইকেট পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন অধিনায়ক জ্যোতি। ষষ্ঠ ওভারে বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন এনে তিনি বল করতে পাঠান নাহিদা আক্তারকে। এরপর ফের সফলতা পায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বোলিং ইউনিট। প্রথম তিন বলে কোনো রান খরচ করেননি নাহিদা। চতুর্থ বলে লেগ বিফোরে আউট হয়ে বিদায় নেন ওপেনার ভিশ্মি।

সাজঘরমুখী হওয়ার আগে এই ওপেনার ১৭ বলে ১১ রান করেন। চারে ব্যাটিং করতে নামেন ইমেশা দুলানি। নাহিদার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে কোনো রানই যোগ হয়নি লঙ্কান নারীদের স্কোরবোর্ডে। ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হতে শুরু করে আথাপাত্থুর দল। তবে এই লঙ্কান অধিনায়ক হাল ছাড়তে নারাজ। নিজের অবস্থান শক্ত করে তিনি নির্ভয়ে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন। ছক্কা হাঁকাতে না পারলেও তিনি চার মেরে রানে গতি দিচ্ছিলেন। তাকে থামাতে টাইগ্রেসদের চেষ্টা চালাতে হয় ম্যাচের একাদশ ওভার পর্যন্ত। নাহিদার বলে রান খরায় ভোগতে থাকেন দুলানি। এক রান নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দেন অধিনায়কের কাছে। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থাকা অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে ধরা পড়েন ফারজানা হকের হাতে। নাহিদার কবলে পড়ে বিদায় নেয়া এই ব্যাটার ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস গড়েন। এই ইনিংস গড়ার পথে আথাপাত্থু ৮টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান। তিনি আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

অন্যদিকে বোলিং ইউনিটে সফলতার মুখ দেখে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এমন পরিস্থিতিতে নিলাকশি ডি সিলভা আউট হন ৯ বলে ২ রান করে ও ইমেশা দুলানি সাজঘরের পথ ধরেন ৩০ বলে মাত্র ১০ রান করে। তারা দ্রুত ফিরে গেলে একশর আগেই ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শতরান পেরোনোর পর প্রাসাদানি ভিরাক্কোডিকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেট নেন অভিষিক্ত সুলতানা খাতুন। প্রাসাদানি প্রতিরোধ গড়ে ৪৮ বলে ২৪ রানের ইনিংস গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান। এই ইনিংস গড়ার পথে একটি বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছিলেন এই নারী ক্রিকেটার। তিনি ফিরে যাওয়ার পর রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন কাভিশা দিলহারি এবং ওশাদি রানাসিংহে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ হয়। এরপরই বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। এরপর আর খেলা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App