ফটিকছড়িতে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সিকদার খীল সেলফি রোড এলাকার গৃহবধূ রোজিনা আকতারের স্বামী, দেবর, শাশুড়ি ও ননদ কতৃক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
বুধবার (৩ মে) দুপুরে স্থানীয় সিকদার খীল ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রোজিনার ভাই কবির হোসেন।
রোজিনার ভাই কবির হোসেন বলেন, রোজিনাকে বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েক দফা শালিশ বৈঠক হলেও তারা সংশোধন হয়নি। উল্টো রোজিনার উপর নেমে আসতো নির্যাতন ও মারধর।
গত ২৮ রমজানের দিন ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে স্বামী মামুন, দেবর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে রোজিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ফাঁসির নাটক সাজায়।
রোজিনার শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রোজিনা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা করতে ভূজপুর থানায় গেলে ওসি গালাগাল করে আমাদের বের করে দেয়। পরে ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করি। এ ঘটনার পুন: তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।
শত শত মানুষের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য, সমাজপতিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন নিহতের পিতা -ভাই ও প্রতিবেশীরা।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে সময় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা মুশকিল ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির নিজের শয়ন কক্ষ রোজিনার মৃতদেহ উদ্ধার করলেও তারা বলেছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ নীচে নামানোর সময় এ পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত ছিলনা। পরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।