×

সারাদেশ

যমুনা নদী থেকে নিখোঁজ বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম

যমুনা নদী থেকে নিখোঁজ বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার

ফাইল ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সিমান্তবর্তী চরগিরিশ ইউনিয়নের সিন্দুরআটা গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর যমুনা নদী থেকে সাবেক ইউপি সদস্য রিপন তালুকদারের (৪৬) ও দুইদিন পর ছেলে আশিক তালুকদারের (১৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ মে) সন্ধ্যায় চরগিরিশ ও নিচিন্তপুর ইউনিয়নের বাশযান যমুনা নদী থেকে রিপন তালুকদার ও মঙ্গলবার সকালে একই এলাকা থেকে ছেলে আশিক তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রিপন তালুকদার চরগিরিশ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড (সিন্দুর আটা) সাবেক ইউপি সদস্য ও একই এলাকার শহীদ তালুকদারের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি নিচিন্তপুর ইউনিয়নের জজিরা গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেলে আশিককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রিপন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন তারা। নিখোঁজের একদিন পর সোমবার রাতে পাশ্ববর্তী নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বাঁশযান এলাকার যমুনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাবার লাশ উদ্ধার করার একদিন পর মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ছেলে আশিক তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রবিবার রাত থেকে বাবা ছেলে নিখোঁজ হয়। এরপর আমরা আমাদের আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেই। কোথাও না পেয়ে নদীতে জাল ফেলে খুঁজাখুঁজি করি। পরদিন সোমবার রাতের দিকে যমুনা নদীতে জেগে উঠা চরের কাছে রিপনের লাশ পানিতে দেখতে পাই। পরের দিন মঙ্গলবার ভোরে আমার ভাতিজা আশিকের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জিয়াউল হক বলেন, আমি রবিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারি। তারপর থেকে নদীতে জাল ফেলে পরিবারের লোকজনকে খুঁজতে বলি। পরদিন সোমবার রাতে রিপন ও মঙ্গলবার সকালে আশিকের লাশ পাওয়া যায়।

সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজুয়ানুল ইসলাম বলেন, বাবা ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় আমিসহ কাজিপুর থানার ওসি, নাটুয়ারপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাবা ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App