×

জাতীয়

ভৌগলিক নৈকট্যকে অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় পরিণত করতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ১১:০৯ পিএম

ভৌগলিক নৈকট্যকে অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় পরিণত করতে হবে

মঙ্গলবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য, ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং ভৌগলিক নৈকট্যের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুইদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দুইদেশের সরকার পারস্পরিক বাণিজ্য বেগবান করতে সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে মনযোগী হয়েছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে বেশ কিছু সাফল্য এসেছে। মঙ্গলবার ( ২ মে) উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা  এসব কথা বলেন।

ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এই সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর নির্বাহী পরিচালক টি.আই.এম. নুরুল কবির, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়েব চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।

মূল নিবন্ধে ড. আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হলেও পরস্পরের সঙ্গে যতোটা বাণিজ্য হওয়া সম্ভব তাদের মধ্যে তা দেখা যাচ্ছে না। এ জন্য পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তবে, তার মতে দুইদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের জন্য এককভাবে সড়ক বা রেল বা জল পথে পণ্য পরিবহনের দিকে না গিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করা গেলে তা বিশেষ সুফল দেবে।

তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো ও লজিস্টিকস-এর ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

ড. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর কেটে গেলেও পরের মাত্র ৩ বছরেই এই পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে।

ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান চৌধুরী।

এছাড়া বক্তারা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতা, মান নিয়ন্ত্রণে সাধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App