×

আন্তর্জাতিক

ইকুয়েডরে সশস্ত্র হামলায় নিহত ১০

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৩, ১১:০৭ এএম

ইকুয়েডরে সশস্ত্র হামলায় নিহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে সশস্ত্র এক হামলায় শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। দেশটির অন্যতম বিপজ্জনক বন্দর নগরী গুয়াকিল শহরে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স

রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইকুয়েডরের বন্দর শহর গুয়াকিলে সশস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে রোববার ইকুয়েডরের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

ইকুয়েডরের প্রসিকিউটর অফিস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি রাইফেল এবং ৯-মিলিমিটার ক্যালিবার বন্দুক পাওয়া গেছে।

ইকুয়েডরের ন্যাশনাল পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম ভিলারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের সংঘাতে লিপ্ত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অন্যদিকে, দেশটির জাতীয় পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে, আমাদের তদন্ত এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলো দায়ীদের চিহ্নিত করার জন্য অপারেশনাল পদক্ষেপ নিচ্ছে। অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, কারাগারগুলোতে একের পর এক দাঙ্গাসহ ইকুয়েডর ২০২১ সাল থেকে নানা ধরনের সহিংসতায় জর্জরিত। এসব দাঙ্গা-সহিংসতায় শত শত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সরকার অবশ্য এই সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষকে দায়ী করে থাকে।

অন্যদিকে, ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো। অবশ্য পেশায় সাবেক ব্যাংকার রক্ষণশীল এই নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানির মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্র যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একইসঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকার কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের প্রভাব বাড়ছে। এসব অপরাধী গোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।

রয়টার্স বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর নগরী গুয়াকিলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে ইকুয়েডর সরকার গুয়াকিল এবং আশপাশের এলাকায় গত এপ্রিলের শুরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এরপর থেকে এসব এলাকায় রাত ১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকছে।

এছাড়া, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি সম্প্রতি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য বন্দুক বহন ও ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। একইসঙ্গে অপরাধ বৃদ্ধির জন্য ইকুয়েডরের সরকার মাদক পাচারকারী চক্রকে দায়ী করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App