×

অর্থনীতি

বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার ফেরানোর দাবি ক্যাবের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম

বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার ফেরানোর দাবি ক্যাবের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এই দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সিরডাপ মিলনায়তনে ক্যাব আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান।

ক্যাবের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যাতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ সংস্কার বাস্তবায়নে ১৩ দফা দাবি জানানো হয়।

ক্যাবের ১৩ দফা দাবিগুলো হলো: ১. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রতিযোগিতাবিহীন যে কোনো ধরনের বিনিয়োগ আইন দ্বারা নিষিদ্ধ হতে হবে। ২. সরকার ব্যাক্তিখাতের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা বাণিজ্যে জড়িত হবে না এবং সরকারি মালিকানাধীন কোনও কোম্পানির শেয়ার ব্যক্তি খাতে হস্তান্তর করবে না, আইন দ্বারা তা নিশ্চিত করতে হবে। ৩. বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি খাতভুক্ত সরকারি ও যৌথ মালিকানাধীন সব কোম্পানির পরিচালনা বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উভয় বিভাগের সব আমলাদের প্রত্যাহার করতে হবে। ৪. নিজস্ব কারিগরি জনবল দ্বারা স্বাধীনভাবে উভয় খাতের কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে। সে জন্য আপস্ট্রিম রেগুলেটর হিসেবে মন্ত্রণালয়কে শুধুমাত্র বিধি ও নীতি প্রণয়ন এবং আইন, বিধি অনুসরণ ও রেগুলেটরি আদেশগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনিক নজরদারি ও লাইসেন্সধারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। ৫. মুনাফা ছাড়া কস্ট বেসিসে ৫০ শতাংশের অধিক বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন সরকারি মালিকানায় আসতে হবে। কস্ট প্লাস নয়, সরকার শুধু কস্ট বেসিসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেবা দেবে। ৬. গ্যাস উন্নয়ন তহবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল, জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিলের অর্থ যথাক্রমে গ্যাস অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় ভোক্তার ইকুইটি বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হিতে হবে। ৭. প্রাথমিক জ্বালানি মিশ্রে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনায় কয়লা ও তেলের অনুপাত কমাতে হবে। ৮. জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উৎস থেকে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৯. বিদ্যুৎ, জীবাশ্ম ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন নীতি, আইন, বিধান ও পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্পাদিত প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ১০. জ্বালানি নিরাপত্তা সুরক্ষার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানির মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জ্বালানি মূল্য স্থিতিশীলতা তহবিল গঠিতে হতে হবে। ১১. ভোক্তার জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণ ও জ্বালানি সুবিচারের পরিপন্থি হওয়ায় দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ আইন), ২০১০ রদ করতে হবে এবং বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ সংশোধনক্রমে সংযোজিত ধারা ৩৪ (ক) রহিত করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার নির্ধারণের একক এখতিয়ার বিইআরসিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। ১২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়নে সম্পাদিত সব চুক্তি বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত মডেল চুক্তি মতে হতে হবে। ১৩. ইতোমধ্যে বাপেক্স ও সান্তোষের মধ্যে মগনামা-২ অনুসন্ধান কূপ খননে সম্পাদিত সম্পূরক চুক্তি, বিইআরবি ও সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে সম্পাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় সম্পূরক চুক্তি এবং বিপিডিবি ও সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে সম্পাদিত মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় সম্পূরক চুক্তি বেআইনি ও জনস্বার্থ বিরোধী এবং জ্বালানি সুবিচারের পরিপন্থি প্রতীয়মান হওয়ায় এ সব চুক্রি বাতিল করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App