×

সারাদেশ

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ পিএম

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগীরা

ছবি: পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী পুঠিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ময়লা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাপদাহে ভেতরে বেশিরভাগ ফ্যান নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের অনিয়ম গাফিলতির কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিতের পড়ার অভিযোগ উঠেছে।

দেখা গেছে, দিনের বেশিরভাগ সময়ে বিদ্যুৎ থাকছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত। এটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কয়েকটি উপজেলার মিলন স্থলে হওয়ার জন্য। এখানে প্রতিদিন শতশত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। সরকারি নিয়যায়ী হাসপাতালে ২৮ জন চিকিৎসক থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক রয়েছে ২৪ জন। তার ভেতর ডা. মরিয়ম নেছা তিথি এবং ডা. সিবগাতুল্লহ দীর্ঘ দিন ধরে প্রেষণে রয়েছেন। আর যেসব চিকিৎসকরা কর্মরত রয়েছেন, তারা দুপুর ১২টার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো রোগী দেখছেন না। আবার কেউ কেউ কর্মরত অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকের নারী-পুরুষ দালালদের টানাহেঁচড়ায় রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

এছাড়া কাকডাকা ভোর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সের আশপাশে এবং ভেতরে অর্ধশতাধিক ওষুধ বিক্রির প্রতিনিধিরা অবস্থান করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের চিকিৎসা করা অবস্থায় তাদের কক্ষে দেখা যায়। কেউ বা চিকিৎসকদের দরজার সামনে থেকে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেখছেন। কারণ, চিকিৎসকদের প্রতিমাসে নিম্নমানের কোম্পানিগুলো মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ব্যাপক সংকট রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগীদের অভিযোগ, প্রতিদিন ওয়ার্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। রোগীর বিছানার নিচে এবং আশপাশে বিভিন্নরকম আবর্জনার দুর্গন্ধে বিছানায় শুয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাপদাহ চলছে। ওয়ার্ডে ফ্যান ঝুলছে কিন্তু বেশিরভাগ ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে। তারপর, নারী ও শিশু ওয়ার্ডের চিত্র আরো বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনটি কেবিনের ভেতর কর্তৃপক্ষের গাফিতলতির কারণে, দুইটি  কেবিন বন্ধ হয়ে আছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিরা রোগী সাথে থাকা স্বজনদের মানুষ মনে করে না। রোগীর সমস্যার কথা বলতে গেলে দুর্ব্যবহার করছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

শিশু ওয়ার্ডের সুমাই খাতুনের মা মিতা ও নুর জাহানের মা অখি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডের খাবারের মান খুবই খারাপ। সব ওষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। তারপর, সেবক সেবিকারা সঠিক সময়ে ওষুধ দেয় না। কোনো বিষয়ে রোগীর স্বজনরা কোনো রকম প্রতিবাদ করলে, তার রোগীদের চিকিৎসা করা বন্ধ করে, অনেক কথা শুনিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারিরা জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার গাফিলতি কারণে সেবক সেবিকা কর্মচারিরা গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে কাজ করছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী মাজরুই রহমান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের লোক সংখ্যা খুবই কম। আউট সোর্সের যে ১৫ জন লোক রয়েছে। তারা স্থানীয় নেতাদের কাছের মানুষ। উনারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজগুলি সঠিকভাবে করছেন না। আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App