×

জাতীয়

‘পাহাড়ে হাসি ফোটাতে কাজ করছে সরকার’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম

‘পাহাড়ে হাসি ফোটাতে কাজ করছে সরকার’

ছবি: ভোরের কাগজ

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উৎসব হচ্ছে পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব। এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটে। তাই এই উৎসবকে প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে তারা। যেখানে পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে উৎসবে মেতে উঠেন প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

প্রাণের এই উৎসব ঘিরে ঢাকায় বসবাসরত পাহাড়িরা শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মিলিত হয়েছেন মিলনমেলায়। ঢাকাস্থ পাহাড়ি বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু ও সাংক্রান পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আয়োজনে এ প্রীতি সম্মিলনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শৈলজ বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাসন্তী চাকমা, শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সালাউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকা ওয়াসার সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ক্যসাচিং মারমা। স্বাগত বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য সচিব ও পরিচালক কিরীটি চাকমা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পার্বত্য এলাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। তারা সবাই মিলেমিশে চলেন। এখানকার ইউনিটিটা ইউনিক, এটা আমি লক্ষ্য করেছি। আমরা কাজ করছি, যাতে আপনাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারি। সেই লক্ষে পার্বত্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কনিস্টিটিউশনাল এই যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে; এর মধ্যে পাহাড়ের তিন জেলায় ১৩-১৯টি রয়েছে। তারা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভালোবাসেন। তাদের আনেক কিছু দিলেও বোধহয় ঢাকা শহরে আসবে না। তারা যার যার সংস্কৃতি, তাদের যে অবস্থান, সেটাকেই তারা ভালোবাসেন, সেটাই আঁকড়ে থাকতে চান। এই সহজ-সরল মানুষগুলোকে এগিয়ে যেতে হবে, তাদের আলোকিত করতে হবে। শিক্ষাসহ এখানকার সমস্যার সমাধানে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

পাহাড়িদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিকভাবে আপনাদের সংস্কৃতি, ভাষা ধরে রাখা আমাদের কাজ। এটা নিয়ে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা বুক উঁচু করে বলবেন- আমরা চাকমা, আমরা মারমা, আমরা ত্রিপুরা উপজাতি। আমরা সেই আবর্তেই আপনাদের রাখবো।

দেশের পার্বত্য তিন জেলা অপার সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাহাড়-ঝরনা থেকে শুরু করে ঊর্বর ভূমি রয়েছে এখানে। কিন্তু কষ্টের জায়গাটা হলো- যখন দেখি তারা পিছিয়ে পড়েছেন, যখন দেখি তারা অনেক সুবিধাবঞ্চিত। সেই জায়গাটিতে কাজ করার জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App