×

সম্পাদকীয়

মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪৭ এএম

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। গত সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে সই করেন। তিনি বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হলেন। নতুন রাষ্ট্রপতির প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একক প্রার্থী থাকায় ওই দিনই মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে পাবনা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় মো. সাহাবুদ্দিনকেও কারাবরণ করতে হয়। পেশায় আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার অফিসার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত হামলার তদন্তে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মো. সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করে। জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক এই মহাসচিব বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত করা সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়া তিনি একজন বরেণ্য লেখক। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন এবং আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। একজন বিচারক হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। আমাদের প্রত্যাশা, একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তিনি অতীতের ন্যায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App