×

সম্পাদকীয়

কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ : নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক হোক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৫০ এএম

ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। আগামী কয়েকদিন ট্রেন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ফিরতি মানুষের ভিড় বাড়বে। এই সময়ে বিভিন্ন পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মহাসড়কে দুর্ঘটনা কম। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা এবার অনেকটাই নির্বিঘেœ গ্রামে যেতে পেরেছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এ বছর সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ ছুটি এবং সড়ক-মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষè নজরদারির কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানুষের যাতায়াত এবার অনেকটাই স্বস্তির হয়েছে। তবে ফেরার পথে চাপ বাড়বে। বাড়ি যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছিল। ফিরতি পথেও তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে। বছরে দুটি ঈদ মুসলমানদের জীবনে সবচেয়ে বড় উৎসব। কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে যে যেখানেই থাকুক না কেন, দুটি ঈদে অন্তত তারা নিজ নিজ পরিবার ও স্বজনদের কাছে ফিরে যান। এবার ঈদযাত্রায় টিকেটের ভোগান্তি ছিল না। বিশেষ করে রেলে টিকেট পেতে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। অনলাইনে টিকেট সংগ্রহের ব্যবস্থা কাজে এসেছে। অন্যদিকে বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনাও এবার কম দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরেছে। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কিছুটা জ্যাম থাকলেও নদীপথে যাত্রা ছিল স্বাচ্ছন্দ্যের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে নদীপথ ও সড়কপথেও চাপ কম ছিল। সার্বিকভাবে বলা যায়, এবার ঈদে ঘরে ফেরার ধকল কম হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়তি মানুষের চাপ অনেকটাই পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন বেশ শক্তিশালী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের রেওয়াজ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ রেওয়াজ মানুষের সংবেদনশীলতার অংশ হয়েও দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা কর্মস্থল ছেড়ে স্বজনদের মাঝে গিয়েছিলেন, তারা যাতে নির্বিঘেœ কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, এ ব্যাপারে সরকার তথা প্রশাসনকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা মনে করি, দেশের বিস্তৃত সড়কপথকে নিরাপদ করতে হলে সার্বিক সতর্কতা ও নজরদারি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যাত্রীদের সচেতনতা ও আইন মেনে চলাও জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোও যেহেতু চিহ্নিত, সেহেতু সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নজরদারি ও তৎপরতা অব্যাহত রাখা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App