×

পুরনো খবর

ঈদ উপলক্ষে মহম্মদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের ঢল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম

ঈদ উপলক্ষে মহম্মদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের ঢল

ছবি: ভোরের কাগজ

ঈদ উপলক্ষে মহম্মদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের ঢল
ঈদ উপলক্ষে মহম্মদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের ঢল

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারাদেশের মতো আনন্দোৎসবে মেতেছে মাগুরার মহম্মদপুরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈদের দিন শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ, রাজা সীতারাম রায়ের কাচারী পাড়ী, শেখ হাসিনা সেতু ও মধুমতির পাড়ে হাজারো দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেমেয়ে, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসছে এই দর্শনীয় স্থানগুলোতে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দটুকু ভাগাভাগি করে নেয়া।

দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার নানা শ্রেনি পেশার হাজারো মানুষ ইজিবাইক, ভ্যান, পেকাপ গাড়িসহ বিভিন্ন গাড়ীতে নানা ধরনের বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সালের এসএসসি ও এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ঈদ পুনর্মিলনী পালন করছেন আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে।

উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাসহ জামাই-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন এবং ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে আসা নানা শ্রেনি পেশার মানুষের ঘোরাফেরার জন্য আকর্ষনীয় স্থান হয়ে উঠেছে উপজেলা পরিষদের মধ্যে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর, রাজা সিতারাম রায়ের কাচারী বাড়ি, মধুমতি নদীর উপরে নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু, ঘোপ বাওড় মধুমতি নদীর পাড়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেখা যায় এসব স্থানে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিজস্ব গাড়ি, ইজিবাইক ও অটোরিকশাযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে লোকজন। পারিবারিক সময় কাটাতে ও শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করেই উপজেলার এই মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে এসেছে পরিবার-পরিজন নিয়ে। এছাড়া, তরুণ-তরুণী, বন্ধুবান্ধব মিলেও অনেকেই এসেছেন। তবে ঈদের দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। আশপাশের উপজেলা ও জেলা থেকেও পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকেই।

উপজেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর, রাজা সিতারাম রায়ের কাচারী বাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান দর্শনার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন মনোলোভা নান্দনিক সৌন্দর্য করে গড়ে তুলেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ ও রাজা সিতারাম রায়ের কাচারী বাড়ি চত্বরজুড়ে নানা রঙের বাহারি ফুল আর সবুজের সমারোহ। উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ঝকঝকে, তকতকে চত্বরজুড়ে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী নানা প্রকার গাছ।

ঈদের দ্বিতীয় দিন উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন থেকে পরিবার নিয়ে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন কবি মো. শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্রিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন উপজেলাকে একটি বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।

মহম্মদপুর বার্তার সম্পাদক বিশিষ্ট নাট্যকার, গবেষক ও কবি সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন জানান, ঐতিহ্যবাহী রাজা সিতারাম রায়ের কাচারী বাড়ী ও উপজেলা পরিষদ বাহারি ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী নানা প্রকার গাছে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। এছাড়া রয়েছে মধুমতি নদী ও ঘোপ বাওড়, এই দর্শনীয় স্থানগুলো মূলত শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষের বিনোদনের পাশাপাশি মনে শান্তি জোগায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল জানান, উপজেলার সর্বসাধারণের বিনোদনের জন্য সৌন্দর্য্য করে গড়ে তুলা হয়েছে উপজেলা পরিষদের মধ্যে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরসহ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। এই দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসেন এটাই ভালো লাগা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App