আখাউড়ায় শিশু বিনোদন কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
ঈদ আনন্দে মেতেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাবাসী। আগের দিন বৃষ্টি বাগড়া দিলেও ঈদেরদিন সকাল থেকে রোদের দেখা মেলে। আর এই সুযোগে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে বেরিয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় সদ্য চালু হওয়া উপজেলার একমাত্র শিশু বিনোদন কেন্দ্র আয়জা শিশু পার্কে।
ঈদের দিন (শনিবার) দুপুর থেকেই পার্কটিতে ভিড় শুরু হয়। বিকালের দিকে মানুষের জনাসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদের দ্বিতীয় দিনের দুপুরেও ছিলো উপচেপড়া ভিড়। বিকেলের সব বয়সের মানুষের পদচারণায় পার্কটি মুখরিত হয়ে উঠে। এর আগে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) আয়জা শিশু পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। পার্কটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লায়ন আবুল মুনসুর মিশনসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
রাফিদ নামের ১২ বছর বয়সের এক শিশু জানিয়েছে, সে তার বাবা ও বড় বোনের সাথে এখানে ঘুরতে এসেছে। এই নতুন পার্কে রাইড কম হলেও এসে অনেক ভালো লাগছে। রাধানগরের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সিয়াম জানান, ছোট ভাইবোনদের সাথে নিয়ে এখানে সে ঘুরতে এসেছে। যাক প্রথম তো কেউ শুরু করলো। আশা করি, পার্কটিতে শিশু বিনোদনের জন্য নতুন আরো অনেক রাইড যুক্ত হবে।
উপজেলার হিরাপুর গ্রামের প্রবাসী আওয়াল মিয়া বলেন, অনেক বছর পর বাড়িতে ঈদ করতে এসেছি। তাই ঈদের পর দিন এখানে এসেছি। সন্তানরা আনন্দ পাচ্ছে এতেই আমরা আনন্দিত। পার্কের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি রাইডের সামনে ভিড়। সামনে থাকা স্টলটিও সাজানো-গোছানো। রাইডে চড়তে শিশুদের যেন তর সইছে না। নতুন পার্কটি দেখতে গেইটের সামনেও জনস্রোত।
পৌর শহরের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ও তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজ বলেন, আখাউড়াতে শিশুদের কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছি একটি শিশু পার্ক করার জন্যা। প্রথমে দুটি নাগরদোলা ও একটি নৌকা রাইড দিয়ে শুরু করলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরো কয়েক নতুন রাইড পার্কে যুক্ত করা হবে। এসময় তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বিনোদন ও খেলাধুলা প্রয়োজন। শিশুপার্কটি কিছুটা হলেও শিশুদের নির্মল বিনোদন দিতে পাারবে। এসময় এই তরুণ উদ্যোক্তার প্রশংসা করেন তিনি।