×

সম্পাদকীয়

ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধ করতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২২ এএম

ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধ করতে হবে

নানা ধরনের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধ সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি দেশের সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসছে। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। বুধবার থেকেই ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। লাখ লাখ ঘরমুখী মানুষ ঢাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা শুরু করছে। দেশের উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ সড়কপথে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করবে। বাসের পাশাপাশি পিকআপ, ট্রাকেও সড়কপথে লাখ লাখ মানুষ ঈদযাত্রায় শামিল হয়। এই সুযোগেই ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পরিবহনগুলো রাস্তায় নেমে পড়ে। এতে করে ঘটে দুর্ঘটনা। অবাক ব্যাপার, দেশে বর্তমানে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৯টি। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালকের সংখ্যা অনেক। ভুয়া লাইসেন্সধারী কোনো গাড়ি বা চালকের শাস্তির তেমন কোনো নজির নেই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় এরা পার পেয়ে যায়। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিকট শব্দ ও কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করে। ফলে মানুষের নানা অসুখ-বিসুখ হয়। তাছাড়া এসব লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িতে যেতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হয়। আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরো কঠোর হতে হবে। কারণ ফিটনেসবিহীন গাড়ি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত গতি, পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যান্ত্রিক ত্রæটিযুক্ত গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বহন করা, ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও লেন না মানার প্রবণতা, মহাসড়কে ধীরগতিসহ বিভিন্ন গতিসম্পন্ন ও অননুমোদিত যান চলাচল, অননুমোদিত ওভারট্রেকিং করা ও গাড়ি চালনা অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। সড়কে অব্যবস্থাপনার করুণ পরিণতির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেপরোয়া বাস দুর্ঘটনায় কেউ হাত কিংবা পা হারাচ্ছে আবার কারো কোমর ভাঙছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে এই নৈরাজ্য চলতে দেয়া যায় না। ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। একইভাবে বিভিন্ন ধারায় ট্রাফিক আইন অমান্যের জন্য বাড়ানো হয়েছে শাস্তি ও জরিমানা। আইনের প্রয়োগে বাধা নিয়ে প্রভাবশালীদের ভূমিকা লক্ষণীয়। আধুনিক, মানসম্পন্ন ও নিরাপদ সড়ক পরিবহন যে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকেও গতিশীল করে। পরিবহন খাত এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক যোগাযোগ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় এখন পরিবহনে যুক্ত। তাই সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এজন্য সময়ের ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন আইনে যে বিষয়গুলো সংযোজিত হয়েছে, তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি মনে করছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সমাধানের অযোগ্য কোনো বিষয় নয়। এ জন্য দরকার ইতিবাচক চিন্তা ও সমন্বিত পদক্ষেপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App