স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট (সক্রিয় কর্মী) হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তারা কোন দলের কর্মী সেই বিষয়ে তদন্তের পর জানানো হবে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে যারা সর্বস্বান্ত হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় তাদের জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আপনারা এ-ও দেখেছেন বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৪টা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যে গাড়িগুলো আগুন নেভাবে সেগুলো ভাঙচুর করা হলো। ভিডিওর মাধ্যমে আমরা সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে আটক করেছি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভাঙচুর করেছে। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দলের অ্যাক্টিভিস্ট বলে তারা পরিচয় দিয়েছে। এসব কিছু নিয়েই আমাদের তদন্ত চলছে। আশা করি, তদন্তের পর আপনাদের আরও কিছু জানাতে পারবো।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এসব কিছুর পেছনে যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে, কোন নাশকতা থাকে বা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকেন একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য সেটাও আমাদের কাছে চলে আসবে। আমরা সেজন্য কাজ করছি।

ব্যবসায়ীদের দাবি করেছেন এসব অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সিটি করপোরেশনের ইন্ধন থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তে নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি উঠে আসবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন এখানে কি করবে? বঙ্গবাজারকে অনেক আগেই সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস পরিত্যক্ত মার্কেটে হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও তো তারা কোর্টের একটা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কেট করছিল। সিটি করপোরেশন তাদের কাজ করছে। এগুলো নিয়ে অনেকে হয়তো বিভ্রান্তিকর নিউজ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সবকিছুই আমরা তদন্ত করে দেখছি।

৫৮টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫৮টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে, এ মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা এটার ব্যবস্থা নেবেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মার্কেটগুলো চালাবেন কিনা এটা তারা বলতে পারবেন। আমি মনে করি অতিসত্ত্বর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেবেন।

তদন্ত কমিটির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। একটি ফায়ার সার্ভিসের, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। সরকারি অফিস, কেবিনেটের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত সচিব।