×

জাতীয়

জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতেই বারবার আগুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৩০ পিএম

জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতেই বারবার আগুন

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

একের পর এক মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা, সেই প্রশ্ন যখন ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে তোলা হচ্ছে, তখন এসব ঘটনার জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, সরকারের লোকরাই ‘আগুন লাগিয়ে বেড়াচ্ছে’ ও তাদের উদ্দেশ্য বিএনপির চলমান আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ‘ভিন্নখাতে নেয়া’।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। অবিলম্বে সারের মূল্যহ্রাস ও ধানের মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানান ফখরুল। কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা (সরকার) ব্যর্থ হয়েছেন, কোনো কিছু মনিটর করেন না। প্রতিদিন সবখানে আগুন লাগছে। এই আগুন লাগার পেছনে আপনারা আছেন। আপনারাই ডাইভার্ট করার জন্য এই যে মানুষের দাবি উঠেছে- সারের দাম কমাও, চালের দাম কমাতে হবে, আমাদের বাঁচতে দিতে হবে, আমাদেরকে একটা ভালো নির্বাচন করতে দিতে হবে, আমাদের ভোটের অধিকার দিতে হবে, এই দাবিগুলো পাশ কাটানোর জন্য, মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য আপনারা (সরকার) এই আগুন লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ১১ এপ্রিল চকবাজারের সিরামিক গুদামে আগুন লাগে। এরপর গত বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডে আগুন লেগে পুড়ে যায় ২০টির মতো গুদাম। শনিবার ভোরে আগুন লাগে ঢাকা নিউ মার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে, তাতে পুড়ে যায় ছয় শতাধিক দোকান।

এসব ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিএনপি। কিছু হলে বিএনপি, উদোর পিণ্ডি বুঁধোর ঘাড়ে। আপনাদের (নিউ সুপার মার্কেটের) ব্যবসায়ীরা নিজেরাই বলে দিলো প্রথমে যে, তারা নিজে চোখে দেখেছে, সকালবেলা সাড়ে পাঁচটার সময়ে সিটি করপোরেশনের পোশাক পরে কয়েকজন লোক এসেছে। মার্কেটের সামনের যে ফুট ব্রিজ ছিলো, সেই ফুট ব্রিজে ভেঙে দেয়ার জন্য তারা গ্রিল নিয়ে সেখানে সেই ব্লক কেটে দিয়ে সিঁড়িগুলো ভেঙে দিচ্ছিলো। তারা যখন লাগাতে গেছে ওই গ্রিলের তার পয়েন্টে, সেই পয়েন্টে শটসার্কিট হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরা দেখেছেন।

তারা আগুন নেভানোরও চেষ্টা করেছেন। আগুন নেভাতে যখন পারেনি তখন সিটি করপোরেশনের ওই লোকগুলো পালিয়ে গেল এটা আমার কথা নয়, এসব সেখানকার ব্যবসায়ীদের কথা। সিটি করপোরেশের দায়িত্বে আছেন এখন কে? সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আছেন আপনারা, আওয়ামী লীগ। তাই দায় সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ও এই সরকারের।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার পরিবর্তনের চলমান আন্দোলন আরো জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগনকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমরা এ আন্দোলন শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এই আন্দোলনের জয়ী হবো। এরই মধ্যে আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আরো শুরু হয়েছে অত্যাচার-নির্যাতন গ্রেপ্তার। কোনো গ্রেপ্তার, হত্যা, নির্যাতন আমাদেরকে আটকে রাখতে পারবে না। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই কৃষক ভাইদের এক জায়গায় এনে, সব শ্রমিক ভাইকে একখানে করে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই বিজয় আমরা ছিনিয়ে আনবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App