×

সম্পাদকীয়

স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রার প্রত্যাশায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৩৯ এএম

আগামী সপ্তাহ থেকে ঈদে ঘরেফেরা যাত্রা শুরু হবে। ঈদের আগে সড়ক-মহাসড়কের বিষয়টি বরাবর সামনে আসে। সরকারের পক্ষ থেকে এবারো ঈদে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় নানা জায়গায় সড়কপথের বেহাল দশার ছবি দেখা গেলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের দাবি, এবার দেশের সড়ক যোগাযোগ ভালো অবস্থায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ, সেতু সচল রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে বিআরটিসির বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে; ট্রেনে বাড়তি বগি ও ইঞ্জিন সংযোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি নজরদারি থাকলে স্বস্তিদায়ক হতে পারে যাত্রা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এইচডিএম) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় সড়ক ও মহাসড়কের উন্নতি হয়েছে, অবস্থা ভালো আছে। দেশের ৩৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ মহাসড়কের অবস্থা ভালো না। আবার এর সঙ্গে জেলা সড়ক যুক্ত করলে মোট ভাঙাচোরা সড়কের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ হয়। গতকাল ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে ঈদের আগে মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষ না করা হলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে এবার ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহাসড়কের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করেছে জেলা পুলিশ। প্রতি বছর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সব কয়টি জেলার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ কারণে বাড়তি চাপ পড়ে এ সংযোগ মহাসড়কে। উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরতে ব্যবহার করে এ মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়কে ১৬ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করছে এবং ঈদে ৩০ থেকে ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশের বারপাড়া এলাকায় চার লেনের সংস্কারকাজ চলছে। এতে মহাসড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর ভুলতা-গাউছিয়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশেও প্রতিদিন যানজট হচ্ছে। এ দিকগুলোতে বাড়তি নজরদারি দরকার। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরো প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য ও পরিবহন নেতার চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন টোলপ্লাজায় ধীরগতির কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয়। এসব এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে না পারলে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিগত বছরগুলোতে ঈদের সময় রাস্তাঘাটের দুরবস্থার কারণে যান চলাচল বিঘিœত হওয়া, যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছতে কয়েক গুণ সময় বেশি লাগা, যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হওয়াসহ নানারকম বিপদ-ভোগান্তির অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। আমরা নিশ্চয় এমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি চাই না। অনতিবিলম্বে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও নাজুক সড়কগুলো সংস্কার করে নিরাপদ যান চলাচল উপযোগী করতে হবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘেœর নামে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে সংস্কার কাজ করা হয়- যা প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজে আসে না। রাস্তাঘাটের সংস্কারে গাফিলতির কারণে কারো ঈদ আনন্দ যেন ভেস্তে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App