×

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম

পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

রামনবমী পালনের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের তিন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যটিতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন বেশ বিরল ঘটনা। এর আগে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে ভারতে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিলো। সর্বশেষ কলকাতা শহরের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা নেমেছিলো ২০০৭ সালে, তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কলকাতার রাস্তায় মৌলবাদীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে। রাজ্য সরকার একরকম বাধ্য করেছিল তসলিমা নাসরিনকে কলকাতা ছেড়ে চলে যেতে। খবর বিবিসির।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্রসহ যেসব রাজ্যে রামনবমীকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে, সেই সব রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপরে বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা হিসাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে।

কঠোর নিরাপত্তা রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রীদের হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কোনও ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের আদালত। হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অস্ত্র নেয়া নিষেধ করেছে হাইকোর্ট। সব মিছিলের জন্যই স্থানীয় থানা থেকে অনুমতি নিতে হবে, এমন নির্দেশও দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা, ব্যারাকপুর ও হুগলিতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। পুলিশ বলছে পোস্তা, চারু মার্কেট, হেস্টিংস, ইকবালপুর ও গার্ডেনরিচ থানা এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার যে হাওড়া শহরের শিবপুরে রামনবমীর দিন প্রথম সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধে, সেখানে স্থানীয় পুলিশ রুট মার্চ করছে বলে জানা যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) উভয়েই আদালতের এ নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছে হাইকোর্টে প্রমাণ হয়ে গেল যে রাজ্য সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যে কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের টহলদারির মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজপথে নেমেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। তিনি যেমন একটি হনুমান মন্দিরে পূজা দিয়েছেন, তেমনই আবার মানুষের কাছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজও নিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App