শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মারুফ হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এ ব্যাপারে গত রবিবার মারুফের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

নিখোঁজ মারুফ উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো.বোরহান মিয়ার ছোট ছেলে ও মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মারুফের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে মারুফকে তার বড় ভাই আরিফুল ইসলাম রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেন। অসুস্থ্যতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে মারুফ বাড়িতে চলে আসে। গত শুক্রবার বিকেলে মারুফ বাড়ি থেকে বের হয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় আসে। এর পর থেকে মারুফের কোনো খোঁজ নেই। এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া য়ায়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবার বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও মারুফকে পাননি। পরে শুক্রবার রাতেই মারুফের বাবা বোরহানসহ আত্মীয়রা থানায় আসেন। পুলিশ এক দিন দেখে থানায় সাধারণ ডায়রী(জিডি) করার পরামর্শ দেয়। পরে গত রোববার মারুফের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মারুফের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকায় গত ৬-৭ মাস আগে একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মারুফের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। তখন মারুফ অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জড়িত এলাকার ছেলেদের নাম পুলিশের কাছে বলে দেয়। এ নিয়ে মারুফের সঙ্গে এলাকার ছেলেদের একটা দ্বন্দ্ব বাধে। তাই লেখাপড়া বাদ দিয়ে মারুফকে ঢাকায় আমার কাছে নিয়ে এসেছিলাম। অসুস্থতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে মারুফ বাড়িতে গেছে। গত শুক্রবার থেকে আমার ভাই নিখোঁজ রয়েছে। এলাকার বখাটে ছেলেরা হয় প্রতিশোধ নিতে মারুফকে গুম করেছে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এই কিশোরের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। মারুফের ব্যবহৃত ফোনটি ট্রেকিংয়ে দেয়া হয়েছে। ফোনটি জেলাতেই আছে বলে বিষযটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।