×

সারাদেশ

সৈকতে বন্ধ হচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম

সৈকতে বন্ধ হচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ

ছবি: ভোরের কাগজ

রমজান মাসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। মূলত জিরো পয়েন্টের দুই দিকে পাকা-আধাপাকা ও সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণে জোট বেঁধেছে সৈকতের মালিকানা দাবিদাররা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের পশ্চিম পাশের একাংশের মালিকানা দাবিদার সাজেদুল ইসলাম হিরু গংরা পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনষ্ট করে ঝুঁকিপূর্র্ণ স্থাপনা নির্মাণ করছে। যেখানে রয়েছে খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল, ঝিনুক মার্কেট। অপরদিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তার বাইরে সমুদ্র সৈকত লাগোয়া অর্ধ শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সৈকত এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে পৌরসভা, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আর ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে ভূমি প্রশাসন। তাদের প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছে দখলদাররা। এমন অবস্থায় যেন অসহায় প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দখলকারীরা পর্যটনের পরিবেশ প্রতিবেশের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত পাকা, আধাপাকা মার্কেট, আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল ও পর্যটননির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে আসলেও মামলা জটিলতায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এর ফলে সৈকত এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা হোটেল রেস্তোরাঁ, দোকানপাটের বর্জ্য, মলমূত্র সমুদ্রের পানিতে ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল পর্যটকরা। এতে পর্যটকদের মাঝে কুয়াকাটার পরিবেশের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

ভূমি প্রশাসনের দাবি, সৈকত এলাকার এসব জমির মালিকানা দাবি নিয়ে সরকার বনাম সাজেদুল ইসলাম হিরু গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কাগজপত্রের জোর না থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞাই দখলদারদের একমাত্র সম্বল। তাই কোনো ধরনের সুরাহায় যেতে পারছে না জেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নির্মাণাধীন সরদার মার্কেটের দেখভালের দায়িত্বে থাকা নিপু (৩০) বলেন, ‘আপনারা যা খুশি লেখেন। আমরা আমাদের কাজ করব।’

এ ব্যাপারে জানতে নির্মাণাধীন সরদার মার্কেটের মালিক সাজেদুল ইসলাম হিরুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি ।

পরিবেশ আইনবিধ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশবিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা বেআইনি। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সমুদ্র সৈকত দখল করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ কিংবা বাধা দিতে গেলে আদালত অবমাননার হুমকি দিচ্ছে দখলদাররা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সৈকতের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় এবং দখল রোধে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠক হয়েছে। এর কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কেউ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App