অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২ এপ্রিল) ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে।

তিনি বলেন, এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলদেশ অটিজম ও স্নায়ু-বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ-এর উদ্যোগ, পরামর্শ ও নিরলস প্রচেষ্টায় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য ৮ বিভাগে ৮টি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য তিনি এনডিডি ট্রাস্টসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।