নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধু ঝর্ণা আক্তার হত্যা মামলার পলাতক আসামী ফিরোজ খাঁ নামে পুলিশের এক এএসআইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজ খাঁ উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের আব্দুর সাত্তার খানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন।

র‌্যাব সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খার সাথে তার চাচাতো ভাই আলম খানের সাথে নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় খোয়াজ খা পারিবারিক বিষয় নিয়ে সে তার মেয়ে তামান্না (১৭) মারধর করতে থাকলে, খোয়াজ খার চাচাত ভাই আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার ফিরাতে গেলে সেও মারধরের শিকার হন। পরে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খোয়াজ খার লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।

পরে স্থানীয়রা মারাত্মকভাবে আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে আবার তাদের উপর হামলা চালিয়ে ঝর্ণাাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিৎিসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রুহুল আমীন বাদী হয়ে পূর্বধলা থাকায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পূর্বধলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, হত্যা মামলার ২ নং আসামি ফিরোজ খা বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত। কর্মস্থল থেকে ছুটি না নিয়ে বাড়িতে এসে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।