×

মুক্তচিন্তা

শতবর্ষের পুরনো সংবাদ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৬ এএম

শতবর্ষের পুরনো সংবাদ

এপ্রিলের মধ্যভাগেই ১৪৩০ বাংলা সনের শুরু। শতবর্ষ ও তার বেশি সময় আগের কিছু সংবাদ তুলে ধরে তখনকার বাংলার স্বব্যাখ্যাত একটি অর্থনৈতিক ও সমাজচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধৃত সংবাদে পরিবেশন শৈলী ও বানান অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে।

দুর্ভিক্ষের চিত্র : কালেক্টরেটে মৃত্যু ঘটনাটি ঢাকা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণের। এখানেই জেলাধিপতি কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব অফিস করে থাকেন। এটি একটি পাবলিক অফিস। তার চোখের সামনেই ঘটছে অনাহার মৃত্যু। ঢাকা প্রকাশ পত্রিকায় ছাপা একটি সংবাদ প্রবাসীর কার্তিক ১৩২৫ সংখ্যা পুনর্মুদ্রণ করেছে। স্থানীয় ফৌজদারি কাছারীর দালানের বারেন্দার ওপর একটি লোককে মৃতাবস্থায় পড়িয়া থাকিতে দেখা যায়। মৃতুব্যক্তির ভ্রাতুষ্পুত্রের নিকট উহার মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করায় সে বলে যে মৃত্যুর তিন চারি দিন পূর্ব হইতে তাহারা এক প্রকার অনাহারে রহিয়াছে। শেষ দুই দিন তাহাদের ভাগ্যে কোনোরূপ খাদ্যদ্রব্যই মিলিয়াছিল না। মৃত ব্যক্তি তাহার দুঃখকষ্টের কথা জিলার কালেক্টর সাহেবকে জানাইবার জন্য সন্ধ্যার সময় ঢাকায় আসে এবং অনেক কষ্টে ফৌজদারি কাছারীর বারান্দায় আসিয়া আশ্রয় লয়। ওই দিন রাত্রে সে মারা গিয়াছে। মৃতব্যক্তির নাম হরিচরণ রিশী, তাহার নিবাস শ্রহরের নাতি দূরবর্তী জুড়াইন গ্রামে।

চাউলের নৌকা লুট বরিশাল হিতৈষী থেকে উদ্ধৃত : গত ২৯ আগস্ট (১৯১৯) ঝালকাঠির পার্শ্ববতী বাসন্ডা নদীতে ২০/২৫ জন লোক একখানা চাউলের নৌকা লুট করিয়া বহু মণ চাউল লইয়া গিয়াছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হইয়াছে তাহারা বলে ক্ষুধার জ¦ালায় এই কাজ করিয়াছে। এখনও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকিলে ফল কিরূপ দাঁড়াইবে তাহা চিন্তা করিতে ভয় হয় কিন্তু কে শোনে আমাদের কথা।

মাগুরা সংবাদ থেকে : একটি বড় সংবাদের সারাংশ বাবু বসন্ত কুমার বসুর অদম্য উৎসাহ অধ্যবসায় এবং তার গাঁটের অজস্র অর্থব্যয়ে মাগুরার বিনোদপুর হাই ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনিই বিদ্যালয়ের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ১৩১২ বঙ্গাব্দে মহা সমারোহে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠান সফলভাবে শেষ হয়েছে। মাগুরা শহর থেকে সাবডিভিশনাল অফিসার বাবু রমণী মোহন দাস এমএ এবং মুনসেফ বাবু হেমচন্দ্র মিত্র বিএল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুষ্ঠানে শরিক হয়েছেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি বাবু বেরতী কান্ত সরকার স্কুল প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশে বলেন, ‘বাবু বসন্ত কুমার বসুকে কে পুত্রহীন কহে? দেখা যাইতেছে আজ তিনি দুইশত পুত্রের পিতা’। বিনোদপুত্র এবং চারপাশের সকল গ্রামের মানুষ বসন্ত বাবুর কাছে কৃতজ্ঞ।

মাগুরা সংবাদ থেকে : একটি ছোট সংবাদের পুরোটা মাগুরার প্রসিদ্ধ উকিল, বিনোদপুর ইংরেজি বিদ্যালয়ের সম্পাদক বাবু বসন্ত কুমার বসুর বিদুষী স্ত্রী সাগরদাড়ির প্রসিদ্ধ দত্ত বংশের কন্যা শ্রীমতি মহাল²ী বসু মাগুরার বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য পাকা ভিত্তির উপর একখানি টিনের ঘর নির্মাণ করিয়া দিতেছেন। ইহাতে অন্যূন পাঁচশত টাকা ব্যয় হইবে। আমরা ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি যে, ইহারা দীর্ঘ জীবন লাভ করিয়া দেশ হিতকর কার্য্যে ব্রতী থাকুন। মাগুরা সংবাদ থেকে : সংবাদের একাংশ মাগুরা ইংরাজি বিদ্যালয়ের হিন্দু বোর্ডিংটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করতে যে সভা আহ্বান করা হয়েছিল তাতে ৩০০ টাকার প্রতিশ্রæতি তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া গেছে ‘মহম্মদ ওমেদ মোল্লা ১০০ টাকা, বাবু রমণী মোহন দাস ৫০ টাকা, তিনিই মাগুরার সাবডিভিশনাল অফিসার বাবু যোগেন্দ্র চদ্র দাস ২৫ টাকা, বাবু নৃপেন্দ্র নাথ পাল ২৫ টাকা দিতে স্বীকার করিয়াছেন।’

মাগুরা সংবাদ থেকে : সংবাদের একাংশ মাগুরা সাভডিভিশনের অধীন কছুন্ডি ও কাদির পাড়া গ্রামে দুইটি পুস্তাকাগার সংস্থাপিত হইয়াছে। ভাল ভাল পুস্তক অধ্যয়নই জ্ঞানার্জনীবৃত্তি অনুশীলনের প্রধানতম উপায়। ভরসা করি ভদ্রপল্লিসমূহ এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিবেন।

মাগুরা সংবাদ থেকে : পুলিশের পদোন্নতির জন্য জনগণের সুপারিশ মাগুরায় একটি চোরের দল গঠিত হইয়াছিল, মাঝে মাঝে প্রায়ই চুরি হইত স্থানীয় পুলিশের চেষ্টায় সম্প্রতি এই দল ধরা পড়িয়া শাস্তি পাইয়াছে। বোধ হয় চুরি এখন অনেক কমিবে এবং লোকে নিরাপদে নিদ্রা যাইতে পারিবে; যে যে পুলিশের চেষ্টায় এই দল ধৃত হইল আশা করি গবর্নমেন্ট ইহাদের পদোন্নতি করিয়া উৎসাহিত করিবেন।

আমরা কোন বিশ্বস্ত বন্ধুর মুখে শুনিলাম ফরকাবাদ নিবাসী রাম কান্ত নামক একজন ব্রাহ্মণের একটি কন্যা আছে। পাঁচ বৎসর বয়ঃক্রমকালে নরসিংহপুর নিবাসী পীতাম্বর ঠাকুরের সহিত তাহার প্রথম বিবাহ হয়। ৬ বৎসর বয়ঃক্রমের সময় বৈধব্য ঘটে। এক্ষণে তাহার ৭ বৎসর বয়ঃক্রম। বিগত শ্রাবণ মাসে রাজাবাড়ী থানার অন্তর্গত প্যাদাবাড়ী নবস্কর নিবাসী শ্রীযুক্ত পীতাম্বর চক্রর্তীর ভ্রাতুষ্পুত্র অভয়চরণ চক্রবর্তীর সহিত তাহার পুনর্বার বিবাহ হইয়া গিয়াছে। অভয়চরণের এই প্রথম বিবাহ। সামজিকেরা পূর্বে এ সকল কথা জানিতেন না এখন জানিয়াছেন, কিন্তু প্রায় কেহই অভয়চরণের প্রতিকূলাচারী হন নাই। ইংরাজী ১৮৬৩। ৯ এপ্রিল।

সম্বাদাবলী। চন্দ্রকোনা গ্রামের বিধবা বিবাহ প্রসঙ্গে ঢাকা বার্তা প্রকাশিকা বলেন, ‘ঢাকার সুশিক্ষিতেরা বিধবা বিবাহের সাপেক্ষে প্রতিজ্ঞা করিয়া ঢাকা প্রকাশে নাম স্বাক্ষর করিলেন, কিন্তু কেবল সৎক্রিয়া সাহসহীনতা নিবন্ধকৃত কার্য হইলেই পারিবেন না। আমরা জানি, ঢাকা বার্তা প্রকাশিকা সম্পাদক অবিবাহিত। বিধবা বিবাহের কথাবর্তাও তিনি স্বীকার করেন। তিনি কেন একটি বিধবার পানি গ্রহণ করিয়া আপনার সৎক্রিয়া সাহস প্রদর্শন করুন না? নিন্দা ও উপহাস করা মুখের কথা। ইংরাজী ১৮৬৩। ৭ মে।

ঢাকা প্রকাশ : ঢাকার ঘোড়দৌড় : এবার ঢাকাতে অতিশয় আড়ম্বরের সহিত ঘোড়দৌড় হইয়া গিয়াছে। এখানকার প্রধান ধনী খাজে আবদুল গণি এখানকার কাপ্তান ও বাবু মধুসূদন দাস, এবারে দৌড়ের ঘোড়া প্রস্তুত করেন। কলিকাতা হইতে একজন মোগল ও কয়েকটি দৌড়ের ঘোড়া লইয়া এখানে আসিয়াছিলেন। এবং দৌড়ের পূর্ব্বদিন রাত্রে কলিকাতার কাপ্তান ওয়ার্লোর দুইটা দৌড়ের ঘোড়াও এখানে পৌঁছে। এখানে যে সকল ঘোড়া প্রস্তুত হইয়াছিল তাহার মধ্যে গণি মিঞার ঘোড়াগুলি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ লোকে এমত মনে করিত। যদি শেষোক্ত কাপ্তান ওয়ার্লো তাঁহার ঘোড়া এখানে না পাঠাইতেন, তাহা হইলে এখানকার ঘোড়ার দৌড় হইয়াই গণি মিঞার ঘোড়া শ্রেষ্ঠ কি অশ্রেষ্ঠ নিশ্চয় হইত। কিন্তু উক্ত কাপ্তানের ঘোড়া দুইটা এমত উত্তম ছিল যে এখানকার কোন ঘোড়া কোন বাজিতেই তাহার একটার সঙ্গেও জয়লাভ করিতে পারে নাই। এবার এখানে সমুদায়ে অর্থাৎ ৪ দিনে ১৬ বাজি খেলা হয় তাহাতে সমস্টিতে প্রায় ৬ হাজার টাকার বাজি হইয়াছিল। ইহার অধিকাংশই কাপ্তান ওয়ার্লো সাহেবের ঘোড়ায় জিতিয়াছে।… সন ১২৭০। ১০ পৌষ। ইংরাজী ১৮৬৩। ২৪ ডিসেম্বর।

ঢাকা প্রকাশ : মুসলমানের কবর ঢাকায় যে সকল ইতর মুসলমান বাস করে, তাহাদিগের শব সমাহিত করিবার কোন বিশেষ স্থান নির্দিষ্ট নাই। লোকগমনাগমনের পথের পার্শ্বে যে সকল স্থান ছাড়া পড়িয়া থাকে, অনকে সেই সকল স্থানে, অনেকে নিজ নিজ বাড়ীতে মৃত শরীর নিখাত করিয়া রাখে। জনাকীর্ণ তাঁতি বাজার ও বংশালের সন্নিহিত নতুন সড়কের পূর্ব্ব পার্শ্বে এত শব নিধান হইয়াছে, যে ঢাকায় তিলার্ধ্ব শূন্য রয় নাই। তথাপি আমরা দুবেলাই প্রায় তথায় কবর দিতে দেখিতেছি। এই সকল শব কেবল নামে সমাহিত হইয়া থাকে। কৃষকেরা শস্যবীজ কেমন মৃত্তিকার নিম্নস্থ করিয়া রাখে, শব সমাহিতারাও সেইরূপ মৃত্তিকা দ্বারা শরীরটা আচ্ছাদিত করিয়া আইসে বলিলেই হয়। শব নিহিত করিবার জন্য যেরূপ গভীর কূপে খনন ও মুদ্দরাচ্ছাদন আবশ্যক, তাহারা তাহার কিছুই করে না। এক বা অর্দ্ধ হস্ত প্রমাণ একটা গর্ত্ত খনন করিয়া তন্মধ্যে শবটা নিক্ষেপ করিয়া কতকটা মাটি দিয়া ঢাকিয়া আইসে।

বিলাতী বস্ত্র বিলাতি বস্ত্রে দেশ ছাইয়াছে। এখন বিলাতী বস্ত্র না হইলে বাবুদিগের পোষাক হয় না। সুতরাং বিলাতী বস্ত্রের জন্য এদেশের প্রায় চল্লিশ কোটি টাকা প্রতি বৎসর বিদেশে চলিয়া যাইতেছে। নাদির সাহ ভারত লুণ্ঠন করিয়া যত টাকা নিয়াছিলেন, দেশের বাবুরা নিজ ইচ্ছায় তাহার দশগুণ টাকা প্রতি বৎসর বিদেশে পাঠাইতেছেন। শিক্ষিত বাবুদিগের দেখাদেখি অশিক্ষিত ছোট লোকরাও বিদেশে টাকা পাঠাইতে গো ধরিয়াছে। ইংরাজ গবর্নমেন্ট এদেশে সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াও বার্ষিক পোনর কোটির বাঁটা ক্ষতি সম্বলিত ২৪ কোটির বেশী নিতে পারেন না, কিন্তু শিক্ষাভিমানীদিগের জন্য তাহার প্রায় দ্বিগুণ টাকা বিদেশে যাইতেছে, এতদপেক্ষা পরিত্যাগ কিসে হয়? তাঁহাদের জন্য এদেশের অতি গৌরবস্থল বস্ত্র শিল্প নষ্ট হইয়াছে। এদেশে বিলাতী বস্ত্রের প্রতিযোগী বস্ত্র হয় না বলিয়া নহে, রুচির মহিমায় ও সর্ব্বনাশ হইতেছে। অদ্যাপি দেশে যে বস্ত্রশিল্প আছে, যদি তৎপ্রতি শিক্ষিত বাবুদিগের অনুরাগ আকৃষ্ট হয়, তবেও দেশের প্রচুর ধন রক্ষা পায়। ঢাকাই বস্ত্র শীতের পক্ষে উপযোগী না হইতে পারে, কিন্তু ঢাকা বিভাগের প্রতিবেশী আসামের এন্ডী ও মুগা বস্ত্র দ্বারা শীতের দর্পচূর্ণ করা যাইতে পারে। এই বস্ত্রের অসাধারণ গুণ এই যে, বিলাতী যে কোন বস্ত্র অপেক্ষা ইহা সুদীর্ঘকাল স্থায়ী। এই বস্ত্রের গুণে মুগ্ধ হইয়া ইংরাজেরা তাঁহাদের সর্ব্বজন প্রসিদ্ধ জাতীয়তার ভার বিস্মৃত হইয়া এই বস্ত্রের পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করিতেছেন। সুতরাং দেখিতেছি, এখন অনেক শিক্ষিত বাবু ও আসাম ছিল্কের পক্ষপাতী হইয়াছেন : অনেকেই এন্ডি মুগার কোট প্যান্টুলন করিতেছেন। ২২ ডিসেম্বর, ১৮৯৫

ভদ্রগৃহের মেয়েদের বাংলাচর্চা ভদ্রগৃহের মেয়েরা প্রায় সকলেই বাংলা ভাষায় লিখিতে ও বাংলা বই পড়তে পারেন। শতবর্ষ আগে অমৃতলাল গুপ্ত আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দুঃখের বিষয় তাঁহাদের এই যৎসামান্য শিক্ষা বাজারের হিসাবপত্র রাখা, স্বামীর কাছে পত্র লেখা এই রূপ দু-একটা আবশ্যক কাজ ছাড়া, প্রায়ই চুটকি গল্প ও অতি অসার গ্রন্থ অধ্যয়নে ব্যর্থ হইয়া যায়। তিনি মনে হয় এ ধরনের অতি অসার গ্রন্থ পাঠে উপকারের পরিবর্তে অনিষ্টই বেশি হয়ে থাকে। ‘এই কলিকাতা শহরের বটতলার অনেক অশিক্ষিত কুরুচিসম্পন্ন লোক মেয়েদের ঠকাইয়া দু’পয়সা রোজগার কবিবার জন্য অতি কুৎসিত গ্রন্থ সকল রচনা করে এবং তাহা সুলভমূল্যে বিক্রয় করে।’

দুপুরের বাবুরা যখন অফিসে থাকেন, তাদের অনুপস্থিতির সুযোগ বই ফেরিওয়ালা গলিতে গলিতে হাঁক ছাড়ে- ‘গিন্নির এবার হুকুর ভারি/ দিতে হবে ঢাকাই বাড়ি।’ ‘দেশী কাপড় কিনতে মানা/ গিন্নির চাই হীরার গহনা।’ মেয়েরা সস্তাদরে এসব বই কিনে ‘সদ্য বিষ গলাধঃকরণ’ করেন। সহজ বাংলায় প্রকাশিত ভাল ভাল বই তাদের পড়া হয়ে উঠে না। স্বদেশের কাজে নিয়াজিত হতে হলে উৎকৃষ্ট বাংলা বই বাংলা সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। উৎকৃষ্ট বই হিসেবে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাবী এবং সীতারামের নাম উল্লেখ করেন এবং মন্তব্য করেন ‘এইরূপ গ্রন্থ পাঠ করিলে রমণীদিগের স্বদেশানুরাগ বর্ধিত হইবারই সম্ভাবনা। (স্বদেশী আন্দোলন ও রমণীর কর্তব্য বামাবোধিনী পত্রিকা, বৈশাখ ১৩১৩; ৪৪ বর্ষ, ৫১৩ সংখ্যা)।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App