×

সারাদেশ

দিশাহারা গরিব, নিম্নমধ্যবিত্তরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৭ এএম

দিশাহারা গরিব, নিম্নমধ্যবিত্তরা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাজারে প্রায় সবকটি ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, খেঁজুর, ছোলা থেকে শুরু করে সবজি, মাছ-মাংস সবকিছুর দাম এখন চড়া। এতে নিম্ন মধ্য আয়ের মানুষসহ সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্যের উত্তাপে গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ত্রাহি অবস্থা।

নগরীর আসকারদিঘী এলাকার বাসিন্দা সৌমেন দাশ ভোরের কাগজকে বলেন, সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের বাড়তি দামে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা তো আরো খারাপ। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেটের যাতাকলে অসহায় সাধারণ মানুষ। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। শুধু রমজানের সময় নয়, সারাবছরই বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এদিকে চট্টগ্রামে একেক কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম একেকরকম। এক কিলোমিটারের মধ্যে তিন কাঁচাবাজারে দাম তিন রকম, হেরফের ১০ থেকে ৩০ টাকা।

শুক্রবার সকালে নগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর ইপিজেড কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৯৫ টাকায়। নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়। রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়, আসকারদিঘীর পাড় কাঁচাবাজারে ২১০ টাকা, নগরীর কাজীর দেউড়িতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২১৫ টাকা।

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হাড়ছাড়া গরুর মাংসের ৯০০ ও হাড়সহ গরুর মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খাসির মাংস আগের ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরু-খাসির দাম মোটামুটি সব কাঁচাবাজারে একই দেখা গেছে।

সবজির মধ্যে গাজর, বেগুন, শসা ও লেবুর দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ছোলা কেজিতে ১০ টাকা ও ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। নগরীর কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি বরবটি ৮০, শিম ৬০, পটল ৮০, মুলা ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ফুলকপি ৫০, ঢেঁড়শ ও তিত করলা ৯০, লতি ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙ্গা ৮০ এবং কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

মাঝারি ও ছোট মানের লেবু হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বড় লেবু হালিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি গাঁজর ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসার দাম ঠেকেছে ৬০ টাকায়।

মাছের বাজারও অস্থির। দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের। কাজির দেউড়ি বাজারে রুই ও কাতলা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০, পাঙ্গাশ ১৮০, তেলাপিয়া ২২০, কই মাছ ৩৫০, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোয়া মাছ ৩৬০ ,কালো চান্দা বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App