পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূত্র উল্লেখ করে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েত চিয়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে তিনি এই গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে সন্তোয় প্রকাশ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম ও বিজয় অর্জনের মতো বেশকিছু ক্ষেত্রে অভিন্ন মিল রয়েছে। ভিয়েতনামের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি এদেশের জনগনের প্রশংসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্লোগান ছিল ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’।

কৃষি খাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ দেশের জনসংখ্যা বিপুল, ‘তাই আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গবেষকদের নিয়োজিত রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ভিয়েতনামের বিদায়ী দূতকে ধন্যবাদ ও তার দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সফলতার প্রতি অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।

নিজেকে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ উল্লেখ করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, ভিয়েতনামের সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ভিয়েতনামী নেতার পক্ষে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে।