×

জাতীয়

জ্বালানি স্থিতিশীল থাকলেই কমবে বিদ্যুতের দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০১:০৪ পিএম

জ্বালানি স্থিতিশীল থাকলেই কমবে বিদ্যুতের দাম

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকলেই দেশে বিদ্যুতের দাম কমবে। তা না হলে এখনই বিদ্যুতের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান না হলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব নয়। আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) ‘এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ’ নামক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী প্রমুখ।

তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সব দেশেই বিদ্যুতের দাম জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করে। খুব অল্প পরিমাণ জ্বালানি আমরা উৎপাদন করি। বেশির ভাগ জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে কী অবস্থার সৃষ্টি হবে তা বলা কঠিন। আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব নয়। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে মানুষের সমস্যা হবে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা, ব্রিটেনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তাদের তুলনায় ভালো আছি।

তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি যদি বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত না করে, তাহলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার মতোই ভালো থাকবে। এক সময় ডলারের বাজার কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে। জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামের নি¤œমুখী প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে দেশেও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দাম নিয়ে মিলছে না। এ কারণে কনকো ফিলিপস চলে গেল। আমরা পসকো দাইয়ুকে ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। চলতি বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।

কয়লা উত্তোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। কয়লা তুললে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে তুলতে হবে। কয়লার ওপরে পানির স্তর রয়েছে। এই পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। তাছাড়া কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রচুর জমি দরকার হয়। খনি এলাকার মাটি উর্বরতা বেশি। সব দিক সরকার বিবেচনা করছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কয়লানীতি চূড়ান্ত করার আদেশ দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করেছে বলে জ্বালানি বিভাগের একটি বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App