নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য ও কায়েতপাড়ার আলোচিত ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বার মারা গেছেন। মাদক ও অস্ত্র মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেলের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। তার বাড়ি রুপগঞ্জের চনপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবার নাম নাদের বক্স।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার আমিনুর রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র ও মাদক মামলার ছিল তার বিরুদ্ধে। হাজতি হিসেবে বন্দি ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। ২৩ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল ভর্তি করা হয়। নারায়ণগঞ্জের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, বজলুর ডায়বেটিক (বহুমূত্র), হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

গত ২৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ওইদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল বজলুর রহমান। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিরুদ্ধে রূপগঞ্জের আলোচিত চনপাড়া বস্তিতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ছিল। স্থানীয়ভাবে তিনি দবজলু মেম্বার বলে অধিক পরিচিত ছিলেন। গত বছর বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাদক প্রসঙ্গ উঠলে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন বজলুর রহমান। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে র‌্যাব-১ এর অভিযানে চনপাড়ার পূর্বগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বজলুর রহমান। ওই রাতেই র‌্যাব তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকা রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা করে। এই তিন মামলার বাইরেও বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ অন্তত ২৩টি মামলা ছিল বলে তখন জানিয়েছিল র‌্যাব।