চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইটি মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন।

এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিন পুইছড়ি পেকুয়া সীমান্ত ব্রিজ এলাকার প্রধান সড়কের উপর তল্লাশি চৌকিতে সিএনজি অটোরিক্সা তল্লাশিকালে সড়কের উপর সন্দেহভাজন ৫ যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করেন।

পুলিশ জানায়, বাঁশখালী পেকুয়া সীমান্তে টানা ব্রীজ এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ জন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক নং- ডি, সেড নং- ১৮ (ফজর রহমান মাঝির) মো. নাজিরের ছেলে রমজান মোবারক (২৪), রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তুতুরবিল গ্রামের জাফর আলমের ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (২৮), টেকনাফ উপজেলার সাফরান ২নং ওয়ার্ডের কোরাচী পাড়ার দিল মোহাম্মদ এর স্ত্রী সেলিনা আক্তার (২৭), হাবিব চরা আবুল হোসেনের বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল হামিদ প্র. আব্দুল (৪০), মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের সিরাজ মোল্লার ছেলে সমরাজ মোল্লা (৫২)।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার উখিয়া থেকে যাত্রী ভেসে মাদক ব্যবসায়ী চকরিয়ার সড়ক পথ ব্যবহার করে বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রা করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চৌকিতে দক্ষিণ পুঁইছড়ি টানা ব্রিজ এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা থামিয়ে সন্দেহভাজন ৫ যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ৫ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে মামলা দায়ের করে আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।