×

সারাদেশ

আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এখন মাছের বাজার!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:০৭ পিএম

আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এখন মাছের বাজার!

ছবি: ভোরের কাগজ

নওগাঁ আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এখন মাছ বাজারে পরিনত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রেলস্টেশন প্রবেশ পথে প্লাটফর্মে মাছ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এখন অনেকে আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশনকে মাছ বাজার স্টেশন নামেই জানে। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ জনসাধারণের।

জানা গেছে, ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন। ব্রিটিশ শাসনকালে এই স্টেশনটি ‘আত্রাই ঘাট’ নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে স্টেশন প্রতিষ্ঠাতা জমিদার মুন্সী আহ্সান উল্লাহ্ মোল্লার নামে রেখে আহ্সানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়।

বর্তমান আহ্সানগঞ্জ রেলস্টেশন হয়ে ৩২টি ট্রেন চলাচল করে, এর মধ্যে ৮টি ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আহসানগঞ্জ রেলস্টশন থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৬ টাকা। এই স্টেশনে বিপুল পরিমাণ আয় হওয়া সত্বেও স্টেশনের প্রবেশ পথ দোকানদারদের দখলে। প্লাটফর্মের অপেক্ষমাণ যাত্রীর পর্যাপ্ত বসার আসন নেই। আসন যা রয়েছে সেগুলো ফল, পান-সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান দিয়ে দখল করে রাখা।

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই রেল স্টেশনে কেউ কেউ আবার প্লাটফর্মের ওপর মোটরসাইকেল রেখে ঘোরাফেরা করেন। প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনির টিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে রয়েছে। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকলেও প্লাটফর্মের বেশিরভাগ জায়গায় নেই লাইট। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্লাটফর্মে যাত্রীদের থাকতে হয় অন্ধকারে, নেই সোলার লাইটিংয়ের ব্যবস্থাও।

উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, আহ্সানগঞ্জ রেল স্টেশনে বেশিরভাগ জায়গা প্রভাবশালীর দখলে। যার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি। শুধু সাধারণ মানুষ নয়,স্টেশন মাস্টারও তাদের কিছু বলতে পারেন না।

ট্রেনের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি নাটোর আমি, আমি আত্রাইতে চাকরি করি তাই আমি ট্রেনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি, দীর্ঘদিন ধরে দেখছি এই স্টেশন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমার মতো অপেক্ষায় থাকা ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে তার কোনো ভালো ব্যবস্থাও নেই। আবার স্টেশনে মাছ বিক্রি করায় অনেক দুর্গন্ধ ছড়ায়।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় আরো কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, কিছু ব্যক্তি রেলস্টেশনের প্রবেশ পথ বন্ধ করে জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করে রেখেছে। আবার প্লাটফর্মের ওপর বেশিরভাগ সময় মাছ বিক্রি করে। যার কারণে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা-নামা করতে অনেক কষ্ট হয়।

এ বিষয়ে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী গ্রেড-১ (ইনচার্জ) সুব্রত কুমার দাস বলেন, আমি এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনেকবার জানিয়েছি। মাছ বিক্রেতাদের বহুবার মাছ বিক্রি করতে মানা করেছি। তারা আমার কথা শোনে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App