বিএসএমএমইউয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা হবে: উপাচার্য
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:২১ পিএম
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। ছবি: ভোরের কাগজ
প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনাসহ ২০টি ভবিষ্যৎ কর্মপকিল্পনার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দুই বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো এবং আগামীর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য বলেন, দায়িত্বের দুই বছরে আমরা নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি আর সামনেও নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। পূর্ণোদ্যমে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালুর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ডায়ালাইসিস মেশিনসহ কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনো এসে পৌঁছায়নি। যে কারণে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পুরোদমে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আশা করছি এই সমস্যার সমাধান হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে। বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নিজ প্রতিষ্ঠানে এই সেবা দেবেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরাই। বিএসএমএমইউতে আগে থেকেই সীমিত পরিসরে এই সেবা চালু করা হয়। এই সেবা কতটা ফলপ্রসূ হবে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবা কার্যক্রম চালুর যে উদ্যোগ তা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে এ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে হতাশা যেনো না হয়। ওই চিকিৎসকরা বাইরে প্র্যাকটিস করতে পারবে না এমনটা যাতে না বলা হয়। কারণ অনেক চিকিৎসক বাইরে বা এলাকায় গিয়েও রোগী দেখেন। এতে সাধারণ মানুষগুলো সেবা পাচ্ছে। এটি পাইলট প্রকল্প। এ কার্যক্রমে কিছু সমস্যা থাকলেও পরবর্তীতে নিশ্চই তা সমাধান করা হবে।
প্রতিষ্ঠান নিয়ে উপাচার্যের অনান্য যেসব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস কার্যক্রম চালু; অফিসিয়াল কাজে আরো গতি আনার জন্য ই-ফাইলিং চালু; বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার স্থাপন। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারের জন্য এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসভবন সুবিধা; পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমিটরী স্থাপনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আবাসন নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ছাপাখানা চালু; বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে ইন্টারকানেকশন ওয়ে নির্মাণ; আউটডোরের জন্য ফুটওভার ব্রিজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুদৃশ্য প্রধান ফটক নির্মাণ; কার্ডিওভাসকুলার, চর্ম ও যৌন, কমিউনিটি অফথালমোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপন; অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সম্প্রসারণ; গবেষণা কার্যক্রমের জন্য এনিমেল হাউস স্থাপন; ডাবল শিফটে ওটি কার্যক্রম চালু করা।