সুনামগঞ্জের ছাতকে দফায়-দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় লায়েক মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত সোয়া নয়টার দিকে থানা সংলগ্ন গণেশপুর খেয়াঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত লায়েক মিয়া শহরের মন্ডলীভোগ (জংলীগড়)এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান উরফে মনার পুত্র। ছাতক পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন লায়েক মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ডলীভোগ লাল মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লায়েক মিয়া ও এরশাদ আলী পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। গত সোমবার লায়েক মিয়া পক্ষের কাজল মিয়া ও এরশাদ আলীর নাতি শিবলু আহমদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিবলু আহমদকে চড়-থাপ্পড় মারে কাজল মিয়া। এ নিয়ে দুদিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ২৮ মার্চ রাতে গণেশপুর খেয়াঘাটে লায়েক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে শিবলু আহমদ ও তার সহযোগীরা।

এতে গুরুতর আহত হন লায়েক মিয়া। প্রথমে তাকে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন লায়েক মিয়া। লায়েক মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে পৌছলে তার স্বজনরা এরশাদ আলী ও নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

লায়েক মিয়ার উপর হামলার পর দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থানা পুলিশ ছাতক বাজার থেকে এরশাদ আলী ও তাজ উদ্দিনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। এখন বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা।