সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানাননি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম। এছাড়া পতাকাও উত্তোলন করা হয়না কার্যালয়ে।
তবে এসব বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের কোনো উত্তর দিতে পারেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কার্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, নিজের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই তিনি কারো কথা শুনছেন না।
জানা যায়, তিনি এই বছরের ২৩ জানুয়ারি যোগদান করে স্থায়ী কার্যালয় থেকে আশ্রাফ প্যালেসের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী কার্যালয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। অফিসের কর্মচারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানানো এবং পতাকা উত্তোলনের কথা একাধিকবার বললেও প্রয়োজন নেই বলে তিনি এগুলো কর্ণপাত করেননি।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার সাংবাদিকরা আশ্রাফ প্যালেসের ওই কার্যালয় গেলে ঘটনার সত্যতা মেলে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, তিন কক্ষবিশিষ্ট কার্যালয়ের একটি কক্ষ কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমের। সে নিজ কক্ষে বসে মোবাইলে কথা বলছিলেন। তার সামনের রুমেই বসেন অন্য কর্মচারীরা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি অফিস রুমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানানোর নির্দেশনা থাকলেও তার অফিসের কোন কক্ষেই ছবি টানানো হয়নি। এবং অফিসের কোথাও দেখা মেলেনি জাতীয় পতাকার।
সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কেনো ছবি এবং পতাকা টানানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম বলেন, আপনাদের কি কি জানার আছে আমাকে বলেন আমি নোট করি আগামীকাল আপনাদেরকে উত্তর দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা বলেন, কি কারণে তিনি এমনটা করেছেন তা তার কাছে অফিসিয়াল ভাবে জানতে চাওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।