আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) ৭৭ রানের বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো সাকিব বাহিনী। এর আগে প্রথম টি- টোয়েন্টিতে ডিএল মেথডে ২২ রানে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। টসের পর বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ নেমে আসে ১৭ ওভারে। আগে ব্যাট করতে নেমে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদের করা ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং। এরপর আইরিশদের লাইনআপ একাই ধ্বসিয়ে দেন টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইরিশ ওপেনার রস অ্যাডয়ারকে ৬ রানে ফেরানোর পর ৫ রান করা টাকার, ২২ রান করা টেক্টর, ৬ রান করা ডেলানি ও ২ রান করা ডকরেলকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান। এরপর দুই পেসার মিলে নেন আরো ৩ উইকেট। ফলে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তুলতে পারে আইরিশরা। দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন কার্টিস ক্যাম্পার। টাইগারদের হয়ে ৫ উইকেট নেন সাকিব।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ ওভার ৩ বল খেলেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে দল। লিটন ১৮ বলে স্পর্শ করেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়েছেন এদিন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
সব মিলিয়ে ৬ ওভার ১ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। এরপর তারা ওপেনিং জুটিতে রেকর্ড গড়েন। নাইম শেখ এবং সৌম্য সরকারের ১০২ রানের জুটিকে ছাড়িয়ে যান লিটন-রনি। ৪৪ রান করে রনি বিদায় নিলে ভেঙে যায় ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। শেষ পর্যন্ত লিটন সাজঘরে ফেরেন সর্বোচ্চ ৮৩ রান করে। এরপর সাকিবের ৩৮, তাওহিদ হৃদয়ের ২৪ ও শান্তর ২ রানে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করায় টাইগাররা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।