×

সারাদেশ

রাসিক নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় ৪ নাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৬ এএম

রাসিক নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় ৪ নাম

ছবি: ভোরের কাগজ

আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এমনটাই জানিয়েছেন। এ নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীর আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর প্রার্থিতা ঘিরে চলছে বেশ আলোচনা। মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ৪ জনের নাম। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

আইন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মধ্য নভেম্বরের মধ্যেই রাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর মেয়াদ ধরা হয়। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় সময় শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর ওই বছরের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সভা। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল থেকে, আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।

তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় রাসিকের ৫ম নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ২১৭ জন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ছিলেন ৫ জন, সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের বিপরীতে কাউন্সিলর পদে ছিলেন ১৫০ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫২ নারী।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন- আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১৩৮ কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছে কমিশন। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসে শেষ করা যায়, মাঝামাঝি বা আগেও করা যায়। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, সেজন্য তাদের চেষ্টা থাকবে এসব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা।

এমন ঘোষণার পরই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে এবার বর্তমান রাসিক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র পদে না দাঁড়িয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। লিটন আগ্রহী হলে তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত।

কিন্তু তিনি মেয়র পদে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থিতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এরই মধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করেছেন। এছাড়া মেয়র পদে প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জাতীয় পার্টি থেকে দলটির যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিউর রহমান দোলন।

দলগুলোর নেতারা বলছেন, জনসম্পৃক্ততা তাদের প্রধান লক্ষ্য। সেজন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে ৩০টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু করছেন তারা। ওয়ার্ডভিত্তিক কাজের মধ্য দিয়ে ভোটের হাওয়া বোঝা যাবে। সেই মোতাবেক দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়েছেন দলীয় নেতারা।

গত রবিবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করে ভোরের কাগজকে বলেন, যেখানে সরকারই অবৈধ, সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিলে তবেই আমরা নির্বাচনে যাব। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App