×

মুক্তচিন্তা

রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন বিকৃতি : স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুলের নতুন তত্ত্ব

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:২০ এএম

রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন বিকৃতি : স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুলের নতুন তত্ত্ব

গত ২৫ মার্চ শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতা ভাষণ দিয়েছেন। সব নেতার আলোচনা নিয়ে নতুন করে লেখার কিছু নেই। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এবং পুরনো নানা বিষয়ে যেসব কথা বলেছেন, তা দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা-উত্তর দেশের রাজনীতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম উচ্চারণ না করে তার বক্তব্য এবং ভূমিকাকে নিজের মতো করে যা বলেছেন তা মূলত বিএনপি এবং ব্যক্তি মির্জা ফখরুল ইসলামের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রতি অবজ্ঞা এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের গণহত্যার প্রতি তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করছে। মির্জা ফখরুল ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ তারিখে পাকিস্তানিদের গণহত্যার যে কারণ ও পটভূমি উল্লেখ করেছেন, তা আগে জেনে নেয়া যেতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল।’ ১৯৭১ সালের পর এই ৫৩ বছরে দাঁড়িয়ে সেই রাতে পাকিস্তানিদের শুরু করা গণহত্যার এমন বিবরণ এই প্রথম কেউ সদম্ভে উচ্চারণ করতে পেরেছে। মির্জা ফখরুল তখন কোথায় ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধেই বা তিনি কী করেছিলেন? তিনি তো কখনো বলেননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাঝেমধ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি।’ তিনি কিন্তু নিজের কথা কখনো বলেন না। বলেন না বলেই কি এখন তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে রাজনৈতিক শূন্যতার কল্পিত কাহিনী আমাদের শোনাবেন? যিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন, তার মুখ থেকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের গণহত্যা শুরু করার এমন ব্যাখ্যা আসতে পারে তা কোনো চিন্তাশীল মানুষ বিশ্বাস করার কথা নয়। সেই সময় কী আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বশূন্যতা ছিল? যদি শূন্যতা থাকত তাহলে তার নেতা তখন সেনাবাহিনীতে কর্মরত মেজর জিয়াউর রহমান কীভাবে বলতে পারেন, ‘৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণেই আমরা গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গিয়েছিলাম।’ অথচ এখন মির্জা ফখরুল বলছেন, তখন নাকি রাজনৈতিক শূন্যতা ছিল, ব্যর্থতাও ছিল। সেই শূন্যতা ও ব্যর্থতা পূরণ করতে কেন তিনি তখন এসে দাঁড়ালেন না- সেই প্রশ্ন তো করা যেতেই পারে। ২৫ মার্চের গণহত্যা নিয়ে এটি কি উপহাসের পর্যায়ে পড়ে না? এর মাধ্যমে পাকিস্তানিদের গণহত্যাকে প্রত্যক্ষভাবেই তো সমর্থন করা হয়। মির্জা ফখরুলের রাজনীতির মূল জায়গা কোথায়, সেটি তো তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। তখন যদি রাজনৈতিক শূন্যতা থাকত, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী গঠন, যুদ্ধ পরিচালনা, সাড়ে সাত কোটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করা কি সম্ভব ছিল? মির্জা ফখরুল বয়সে তখন তরুণ ছিলেন, যুদ্ধেও যাননি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধটা যে কত ত্যাগ তিতিক্ষায় ভরপুর ছিল, মানুষের অংশগ্রহণ এবং নেতার প্রতি আস্থাশীল ছিল, সেটি পাকিস্তানিরাও দেখেছিল। কিন্তু তারা পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করেছিল, দেশটাকে তাদের দখলে রাখার জন্য। জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন কত অন্তরাত্মার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল, সেটি মির্জা ফখরুল তখন বোঝার রাজনীতি করেননি, করেছেন ভিন্ন রাজনীতি। সেই রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ ছিল না, জনগণও ছিল না, ছিল আওয়ামী বিদ্বেষ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিও বিদ্বেষ। সেই বিদ্বেষই যারা লালন করে এসেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, গণহত্যা ইত্যাদি নিয়ে এমন কল্পিত তত্ত্ব হাজির করতে পারেন। সেই সময়ের অন্ধবিশ্বাসের রাজনীতি দিয়ে এখন তিনি যে দলের মহাসচিব পদে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছেন, সেই দল ১৯৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে কলঙ্কিত করেছে, রাজাকারদের কীভাবে পুনর্বাসিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেছে, এখনো করছে, তিনিও সেই ধারাই বহন করছেন। তবে এসব মনগড়া তত্ত্ব ইতিহাসে কোনোদিন স্থান পায় না, আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। মির্জা ফখরুল তার বক্তৃতায় ১৯৭২-৭৫ এর রাজনীতির একটি কল্পিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তখন অনেকে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে গণবাহিনী গঠন করেছিলেন। তারা সেই সরকারের নির্যাতন, অন্যায়-অত্যাচার, দুর্নীতির কারণে তখন আওয়ামী লীগকে বয়কট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।’ তার এই বক্তব্য তৎকালীন রাজনীতির কোনো সঠিক চিত্রকে তুলে ধরে এমনটি বোধহয় জাসদও বলবে না, গণবাহিনীর জীবিতরাও বলবে না। আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই তখন দেশে গণহত্যার রাজত্ব কায়েম করেনি যে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী বিদ্বেষিত মন অনেক কিছুই ভাবতে পারে, বলতেও পারে। কিন্তু ইতিহাস তা নয়। আমরা অনেকেই তখন দেশে ছিলাম। দেশের সমস্যা এবং সরকারের সমাধানের উপায়গুলো কিছুটা হলেও বুঝতাম। দেশে হঠকারী রাজনীতির ধারক-বাহক অনেক দল ও গোষ্ঠীই ছিল। গণবাহিনীর এবং জাসদের রাজনীতিও অনেকটাই বাস্তবতা বিবর্জিত ছিল। সেই জাসদ নানা ভাগে বিভক্ত এবং বিস্তৃতির অতলে তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলেই। ’৭২ থেকে ’৭৫- এ জাসদের রাজনীতি নিয়ে বেশ কিছু বই ও গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একটি সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্ম সিরাজুল আলম খান, আ স ম আব্দুর রবসহ তৎকালীন জাসদ তরুণ অপরিপক্ব নেতৃত্বের হাতে পড়ে কীভাবে উগ্র হঠকারী হয়ে উঠেছিল, সেটি রাজনীতির জন্য অবশ্যই পাঠ্য বিষয়। সেই উগ্রতা এবং হঠকারিতাকে সমর্থন যারা করে, তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও ঠিকানার কথা কারো অজানা থাকার কথা নয়। ওই ভাষণে তিনি রক্ষীবাহিনীর প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন। ’৭৫- এর পর থেকে বিএনপি রক্ষীবাহিনী সম্পর্কে মনগড়া, আজগুবি এবং ভীতিসঞ্চয়কারী এক বয়ান দিয়েই চলছে। এখানেও তিনি বলেছেন, ‘আজকে যে র‌্যাব, ঠিক তখনকার সরকার রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিল। সেই রক্ষীবাহিনী তখন ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।’ রক্ষীবাহিনীর সদস্য কারা ছিলেন- এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে যেসব কৃষক, শ্রমিক, বেকার যুবক অংশগ্রহণ করেছিল তাদের দিয়ে যেহেতু কোনো নিয়মিত বাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তাই ১৯৭২ সালে সরকার এসব মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেই জাতীয় মিলিশিয়া তথা রক্ষীবাহিনী তৈরির প্রয়োজন অনুভব করেন। ৮ মার্চ ১৯৭২ এই অধ্যাদেশ জারি হয়। এখানে কেবল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী, শারীরিকভাবে সক্ষমরাই যোগদানের বিধান ছিল। এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত মেজর এ এন এম নূরুজ্জামান। এই বাহিনী ১৯৭৫ সালে মাত্র ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন করতে সক্ষম নয়। এর সদস্য সংখ্যা এক ব্যাটালিয়নে ৩০০- ১,০০০ সদস্য থাকার কথা। সেই হিসেবে এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১০ হাজারের খুব বেশি হওয়ার কথা নয়, যারা সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, অবদান রেখেছিলেন। বিএনপি এই বাহিনীর বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার করছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছিল তাদের প্রতি দলটির বিমাতাসুলভ আচরণই প্রকাশ পায়। রক্ষীবাহিনী গড়ে উঠতে না উঠতেই দেশে ৩০ হাজার মানুষ হত্যা করে ফেলেছে। এমন কেচ্ছা কেবল অপপ্রচারকারীরাই তৈরি করতে পারে। যদি রক্ষীবাহিনী এভাবে নির্বিচারে নির্দোষ মানুষদের হত্যা করেই থাকত, তাহলে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর গোটা রক্ষীবাহিনীকে কেন সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করেছিলেন। তিনি কেন দোষীদের শাস্তির আওতায় আনলেন না। তিনি তো বিএনপির ভাষায়, ‘ত্রাতা’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন! ২০০১ সালের পাঠ্যবইতে ১৯৭১ এবং ’৭৫-এ জিয়াউর রহমান ‘সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান’ এবং ‘ত্রাতা’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, এমনটি লেখা হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীকে যে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করেছিলেন, সেই রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের এমন আদাজল খেয়ে অপপ্রচারে নামার উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী বিদ্বেষেরই বহিঃপ্রকাশ ছড়ানো। মির্জা ফখরুল আরো বলেছেন, ‘সিরাজ সিকদারকে পেছন থেকে গুলি করে পার্লামেন্টে তাদের নেতা জোর গলায় বলেছিলেন কোথায় সিরাজ সিকদার।’ মির্জা ফখরুল এবং বিএনপি সিরাজ সিকদার হত্যার এমন কাহিনী প্রায়ই দাবি করে থাকে, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এককালের জাসদ কর্মী বর্তমানে গবেষক ও লেখক মহিউদ্দিনের বাতিঘর থেকে প্রকাশিত ‘লাল সন্ত্রাস সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’ গ্রন্থে সিরাজ সিকদারের রাজনীতি এবং তার শেষ পরিণতি পর্যন্ত বিস্তৃত বর্ণনা নানা তথ্য-উপাত্ত এবং সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বক্তব্য নিয়ে লিখেছেন। এই বই পড়ার পর কারোই সিরাজ সিকদার বা তার রাজনীতির প্রতি সহানুভূতি থাকার কথা নয়। সিরাজ সিকদারের হত্যা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন লিখেছেন, ‘… মুজিব কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছিলেন, এটা তারা খতিয়ে দেখেন না।… খোলামনে এই কথাগুলো পড়লে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না যে সিকদার হত্যার দায় নিচ্ছেন মুজিব। তার বক্তৃতার মূল বিষয় ছিল, সিকদারের মতো আত্মগোপনকারীকে যদি ধরা যায়, তাহলে দেশের অন্যান্য সমাজবিরোধী ও দেশবিরোধী-যাদের মধ্যে আছে কালোবাজারি, লুটেরা, মজুতদার ও খুনি-তারা কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।’ (বিস্তারিত পৃঃ১৯৫-৯৬) মির্জা ফখরুল বঙ্গবন্ধুর নামটিও উচ্চারণ না করে বলেছেন, তাদের নেতা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির নেতা, মির্জা ফখরুলের নয়- এটি তিনিই জানিয়ে দিলেন! মির্জা ফখরুল আরো বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো সময়ই অন্যের অবদান স্বীকার করেনি। মুক্তিযুদ্ধকে তাদের একক অর্জন মনে করে।’ দল হিসেবে আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল এটি তো সত্য। জনগণ সেই নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল, অন্য অল্প কয়েকটি দল অংশ নিলেও তারা খুব একটা বড় ছিল না। তাদের অবদানের কথা কেউ কি অস্বীকার করে? কিন্তু এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় কারা? কি উদ্দেশ্যে? তাদেরই বা অবদান কী? মির্জা ফখরুল এনায়েতউল্লাহ খানের হলিডে এক শিরোনামের উল্লেখ করেছেন। এনায়েতউল্লাহ খান বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১৯৭৫ এর আগস্টের শেষ সংখ্যায় শেখ মুজিব ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল, তাদের সেই অভিযান কি সফল হয়েছে? এনায়েতউল্লাহ খানের নাম কী খুব মহিমান্বিত আছে? থাকবে? কজনইবা তাকে চেনেন? মির্জা ফখরুলরা তাকে চেনেন…। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন তাই নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও তার নাম ছিল এবং আছে। মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানকে সাক্ষী রেখে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মির্জা ফখরুল উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এটাই সত্য। … আওয়ামী লীগের লোকেরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। অন্যের ঘাড়ের মধ্যে রাইফেল রেখে তারা মুক্তিযুদ্ধের নাটক করেছে।’ মির্জা ফখরুলের এসব বক্তব্য শুনে এখনকার তরুণ প্রজন্মও মির্জা ফখরুলের মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী বিদ্বেষিত মনোভাবটি স্পষ্ট বুঝতে পারছে। সেটি তিনিই তাদের বুঝিয়ে দিলেন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App