×

সারাদেশ

মোংলার ওসির বিরুদ্ধে নারীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১০:০৫ এএম

মোংলার ওসির বিরুদ্ধে নারীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে আইনি সহায়তা চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। ওসির সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাজেহালও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। তবে, অভিযুক্ত মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মনগড়া ও সাজানো।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী জানান, জমি নিয়ে আদালতে তাদের একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি উপকারের বদলে আমার দিকে কুনজর দেন। এমনকি আমার শরীরেও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। পাশাপাশি আমাকে উপকার করার কথা বলে থানার তিন তলায় একা সাক্ষাৎ করতে বলেন। তার এই অনৈতিক ডাকে সাড়া না দেয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। শুধু পুলিশই নয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) লোক পাঠাচ্ছেন আমার বাড়িতে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশ এসে আমাদের বাড়িতে বিরক্ত করছে। আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে আমাদের বসতবাড়ি দখলেরও চেষ্টা করছেন।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমার শ্বশুর মো. ইউছুফ হাওলাদার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। এ মামলার ইস্যুতে বিবাদী কামালের হোসেনের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওসি মনিরুলের নির্দেশে তার (কামাল) লোকজন আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, বাড়ি দখলের চেষ্টাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে।

তিনি বলেন, গত বছর ১১ ডিসেম্বর সকালে তদন্তের নামে ওসি মনিরুল আমাদের বাসায় এসে একাই গেটের ভেতরে প্রবেশ করে। আমাকে এসে বলে, তোমার বয়স এত কম। এক পর্যায়ে সে আমার হাত ধরে এবং পিঠের উপর তার হাত রাখে। এতে আমি ইতস্তত বোধ করলে সে আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ নম্বর চায়। কোনো হোয়াইটস অ্যাপ নম্বর নেই জানালে থানার তিনতলায় তার রুমে একা একা দেখা করতে বলে। দেখা করলে সব সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। এসব কথাবার্তার এক পর্যায়ে অন্যান্য পুলিশ ও লোকজন এসে পড়লে সে তার আচরণ পরিবর্তন করে ফেলে।

এ ঘটনার পর থেকে ওসি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জমি ইস্যুতে সে প্রায় সময়ই আমাদের কাছে পুলিশ পাঠিয়ে মানসিক যন্ত্রণাসহ নানা হয়রানি করে আসছে। এরপর থেকে আমার স্বামী মোজাম্মেল হোসেন হিমেল মানসিক অসুস্থ হয়ে ব্রেন স্ট্রোক করেন। বর্তমানে ওসির ইন্ধনে কামালের লোকজন আমাদের বসতবাড়িটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমাদের বসতবাড়ি রক্ষা ও পুলিশ কর্মকর্তার এহেন কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো তাদের মনগড়া অভিযোগ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App