×

সারাদেশ

আখ চাষ কমেছে ৪২ শতাংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৫০ পিএম

আখ চাষ কমেছে ৪২ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশীজনের অংশগ্রহণে ইক্ষুজাতের প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা সোমবার (২৭ মার্চ) পাবনার ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আখের ক্ষতিকর পোকা ৬৮টি এর মধ্যে ১০টি পোকা মারাত্মক ক্ষতিকর। পোকা নিয়ন্ত্রণ করলে আখের ফলন বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন মেকানিক্যাল কন্ট্রোল, বাইলোজিক্যাল কন্ট্রোল, সবশেষে অনুমোদিত হারে রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করলে কৃষক লাভবান হবে।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউিট (বিএসআরআই) এর আয়োজনে বিএসআরআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী।

তিনি বলেন, চাঁপাই নবাবগঞ্জের কানসার্ট ১০ মাইল এলাকার শিবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারির বিলে ১০০ হেক্টর জমিতে বিএসআরআই কতৃর্ক সাথী ফসল হিসেবে রসুনের সাথে আখ ৪১ জাতের আখের আবাদ হয়েছে। আখ চাষে লাভবান হতে কৃষককে কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে আধুনিক প্রযুক্তি প্রদান, আখ রোপণের পর কৃষককে আখের সঠিক পরিচর্যা ও অনুমোদিত হারে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের আহবান জানান তিনি।

কর্মশালায় এক বছরের ব্যবধানে ৪২ শতাংশ জমিতে আখের আবাদ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সাঈদা খাতুন।

ক্ষতি পোষাতে মিলগুলোতে চিনির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বহুমুখী উৎপাদন করে লাভজনক করতে ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ানোর কথা তুলে ধরা হয়।

কর্মশালায় কৃষি অর্থনীতি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম আখ চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ কমেছে। ২১-২২ অর্থ বছরে মিলজোন এলাকায় ২০ হাজার হেক্টর ও নন মিল জোন এলাকায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। অথচ ২০-২১ অর্থবছরে মিল জোন এলাকায় আখের আবাদ হয় ৫২ হাজার হেক্টর জমি ও নন মিল জোন এলাকায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি বছরই আখের আবাদ কমছে।

নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দেশে মোট ১৫টি চিনিকল রয়েছে এর মধ্যে পাবনা চিনিকলসহ বন্ধ রয়েছে ৬টি চিনিকল।

চিনিকলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও বহুমুখী উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে কেরুতে চিনি, ডিস্টিলারি, ফার্মাসিউটিক্যালস, বাণিজ্যিক খামার, আকন্দবাড়িয়া খামার (পরীক্ষামূলক) এবং জৈব সার এই ছয়টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ডিস্টিলারি ও জৈব সার ইউনিট লাভজনক। আখের রসের গুড় থেকে অ্যালকোহল ও বিভিন্ন ধরনের স্পিরিট তৈরি করে থাকে কোম্পানিটি। যা চিনি উৎপাদনের উপজাত। চিনি উৎপাদনের জন্য আখের রস আহরণের পর তিনটি উপজাত পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে গুড়, ব্যাগাস ও প্রেস মাড। মদ বা অ্যালকোহল উৎপাদনের প্রধান উপাদান হল গুড়। গুড়ের সঙ্গে ইস্ট প্রক্রিয়াকরণের পরে তৈরি করা হয় অ্যালকোহল। যা মিলকে লাভজনক শিল্পে পরিণত করেছে।

বিএসআরআইয়ের পরিচালক (টিওটি) মোছা. ইছমাৎ আরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সহ-সভাপতি মাহাবুবুল হক দুদু, বিএসআরআইয়ের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ওসাকার পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App