×

জাতীয়

স্বাধীনতার মাসেই পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:০৪ পিএম

স্বাধীনতার মাসেই পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে রেললাইন নির্মাণ কাজে শেষ হয়েছে ৯৯ শতাংশ। এতে বসাতে বাকি আর মাত্র একটি স্লিপার। মাত্র ৭ মিটারের স্লিপারটি সফলভাবে বসে গেলে শতভাগ সম্পন্ন হবে মূল সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ। আর  স্বাধীনতার মাসেই পদ্মা সেতুতে চলবে স্বপ্নের ট্রেন। আগামী ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে পরীক্ষামূলক রেল চলবে ভাঙা পর্যন্ত। এই রেলে ছড়বেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্ন জয়ের আরেকটি তার প্রান্তে পৌঁছে যাবে পদ্মা সেতু।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে দায়িত্বশীল প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সেতুতে মোট ৮টি এমন মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। এর ৭টি যথাযথভাবে স্থাপন হয়েছে সফলভাবে। বাকি জয়েন্টও স্থাপন হয়েছে। তবে রেল লাইন ঢালাই করার জন্য ও শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এই স্লিপারের কাজও যথা সময়ে শেষ হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ বিগ্রেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আবার সেই সেতুতে রেল সংযোগ করা আরেকটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। যে কোন জিনিস তৈরির সময় যেটা টেবিলে করা হয় সেটা যখন বাস্তবে অবগ্রাউন্ডে করা হয় তখন সেটা সেরকমভাবে হয়ে ওঠে না। সেটার জন্য আমাদের প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা ছিল। যেটা আমরা সংশোধন করেছি। এখানে আমরা সবোর্চ্চ মান নিশ্চিত করেছি। কংক্রিট আনার আগে, প্রেসিং করার সময় প্রতিটা সময় আমরা প্রতিটা বিষয় আমরা টেস্ট করছি, তারপর সেটা ব্যবহার করছি।

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৯ শতাংশ আর মাত্র এক দিনের মধ্যেই শতভাগ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবে। বাকি থাকা মাত্র ৭ মিটার কাজ ছাড়া দুই প্রান্ত থেকে পুরো সেতুতে রেলপথ তৈরি। মজবুত এই রেল লাইন দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচ তলায় সুক্ষ্মভাবে টেকসই পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ করা। এটি এখন সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।

এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল রুটটিও। প্রস্তাবিত রুটটি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাজারি-মিয়ানমারের গুণদুম সীমান্তে গিয়ে মিশবে।

প্রকৌশলীরা জানান, মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপন হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের স্টিলের স্লিপারগুলো ছাড়া বাকি কংক্রিটের সব স্লিপার চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরনো রেল স্টেশনের পাশে স্লিপার ফ্যাক্টরি স্থাপন করে সেখানেই তৈরি করেছে এই স্লিপার। শুধু সেতুর স্লিপারই নয় পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন তৈরি জন্য সব স্লিপার তৈরি করেছে এখানে। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্ট এবং স্টিলের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App