×

জাতীয়

বিদেশিদের কাছে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

বিদেশিদের কাছে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে

সোমবার রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ছবি: ভোরের কাগজ

বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সাম্প্রতিককালে কিছু নালিশ পার্টি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বলে বেড়ায় আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বলে যে, শেখ হাসিনার সরকার নাকি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’ তিনি এসব অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা নালিশ পার্টি তাদের সময়ে এক কোটি ভুয়া ভোটার হয়েছিল। আর শেখ হাসিনার সরকার ভুয়া ভোটার হওয়ার সব পথ বন্ধ করে বায়োমেট্রিক ফটো আইডি করে দিয়েছেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করেছেন, আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশন করে দিয়েছেন। আর গত ১৪ বছরে দেশে শত শত ইলেকশন হয়েছে- এই তথ্যগুলো পৃথিবীকে জানানো দরকার। আর শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতার কারনে গত ১৪ বছরে আমাদের যে অভাবনীয় সাফল্য সেটাও জানানো দরকার।

নালিশ পার্টি মিথ্যা প্রচারণা করে অনেক জায়গায় পার পেয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের রক্তে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে ন্যায়বিচার, আমাদের রক্তে মানবাধিকার। তাই যারা নালিশ পার্টি- তারা যেন অপপ্রচার করে পার না পায় সেজন্য আপনারা সোচ্চার থাকবেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. মোমেন বলেন, সত্তুরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হয়, গণতন্ত্রের নিয়মে তখন আওয়ামী লীগেরই সরকার গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু তখন তারা (পশ্চিম পাকিস্তানিরা) আওয়ামী লীগের সরকার গঠন প্রক্রিয়া বানচাল করে দেয় এবং তারপর তারা গণহত্যা শুরু করে। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তখন, মুক্তিযুদ্ধে, বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ মানুষ গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা জন্য প্রাণ দিয়েছিল।

ড. মোমেন বলেন, পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এতো মানুষ প্রাণ দেয় নাই। আমরা বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছি, সংগ্রাম করেছি, বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে যে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা হয়েছে। আমেরিকা আমাদের বন্ধুদেশ, আমি আশা করবো- আমেরিকা ৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে সেটাও স্বীকার করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App