×

সারাদেশ

বাবুগঞ্জে ইউএনও-জনপ্রতিনিধি সমন্বয়হীনতা চরমে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৮ এএম

বাবুগঞ্জে ইউএনও-জনপ্রতিনিধি সমন্বয়হীনতা চরমে

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসেনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের যথা স্থানে বসার ব্যবস্থা না করা, বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দেয়া ও অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে তাদের সন্তানরা পুরস্কার নিতে আসলে ইউএনও নুসরাত ফাতিমা খারাপ আচারণ করায় ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাবের কক্ষে এক জরুরি সভা করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিমু, মশিউর রহমান, দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়- ইউএনও উপজেলা পরিষদের সাথে কোনো বিষয় সমন্বয় না করে নিজের ক্ষমতা প্রভাব খাটিয়ে সকল কাজ করায় উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান করেন নুসরাত ফাতিমা। যোগদানের পর মৎস্য অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলার পুড়িয়ে আলোচনায় আসেন ইউএনও নুসরাত ফাতিমা।

সম্প্রতি উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের এক মুক্তিযোদ্ধার রের্কডীয় সম্পত্তিতে জনস্বার্থের দোহাই দিয়ে নালা নির্মাণ করেন। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বাধা দিলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তার সন্তানদেরকে বেআইনিভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন বলে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম।

এছাড়াও পাবলিক পরীক্ষায় কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর নিয়ে আসলে ইউএনও অর্ধশতাধিক ক্যালকুলেটর ভেঙে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে দায়সাড়াভাবে সরকারি অনুষ্ঠান পালন করেন।

এছাড়াও তিনি ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীনদের জন্য উপহার ঘর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব থাকা এক কর্মচারী ও ইটভাটা ম্যানেজারকে কোমরে রশি দিয়ে কয়েক ঘন্টা বেঁধে রাখেন।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের অবমূল্যায়ন করে আসছেন এবং আসন বিন্যাস করেন।

গত ১৪ মার্চ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউএনওর বিভিন্ন অনিয়মের প্রস্তাব রেজল্যুশনে আনা হলে দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি চেয়ারম্যান ওই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেনি।

বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে নামে বরাদ্দ নিয়ে নিজ বাসভবনের আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র ক্রয় করায় বিতর্কে পড়েন ইউএনও। যা নিয়েও উপজেলা পরিষদের সাথে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ও ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের আয়োজিত প্রতিটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোনো আলোচনা বা সমন্বয় ছাড়াই নিজেই সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

ইউএনও নুসরাত ফাতিমা অভিযোগের বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সকল বিষয় আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App