×

সারাদেশ

বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে পিটিয়ে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৩২ পিএম

বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে সাফি আলী (২৫) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে।

চারমাস আগে পিটুনির ঘটনার গুরুতর আহত সহকারী নির্মাণ শ্রমিক সাফি সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চারমাস আগে পিটুনির ঘটনার মস্তিষ্কের আঘাত নিয়ে গুরুতর আহত সহকারী নির্মাণ শ্রমিক সাফি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই ভুগছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সফির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় পরিবারের স্বজনরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হোসেন ইমাম বলেন, সোমবার সকালে সাফি নামের এক যুবককে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। গত চারমাস পূর্বে এই রোগী এ্যাসল্ট হয়ে ভমিটিং লক্ষনসহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো।

নিহত সাফি আলী (২৫) উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ নদীরকুল এলাকার বাসিন্দা মানসিক প্রতিবন্ধী মতিয়ার রহমানের ছেলে।

নিহতের মা বেবি খাতুনের (৪৫) অভিযোগ, বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে ভাসুর কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেদের দিয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। তারই জেরে গত বছরের ২০ নভেম্বর সকালে আমার ছেলেকে কামাল হোসেনের ৪ ছেলে যথাক্রমে, তোফাজ্জেল (৩৫), তুষার (৩০), সুজন (২৫), মোফাজ্জেল (২২) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রড, বাটাম, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। আমরা কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের সাহায্য চাইলে থানার দারোগা জিন্নাহ এসে গুরুতর আহত সাফিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে সাফি এতোদিন ধরে নিস্তেজ অবস্থায় ভুগছিলো। অভাবের সংসারের ওর প্রয়োজনীয় ওষুধও খাওয়া পারিনি। চারমাস আগে সাফিকে মারধরের কারণে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলাও করেছি। কিন্তু সেই মামলায় কোনো আসামিকে পুলিশ ধরেনি। তবে এঘটনায় হুকুমদাতা কামাল হোসেনের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক জিন্নাহ আহমেদ মুঠোফোনে জানান, গত নভেম্বর মাসে বোয়ালদাহ মেছোপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে সাফি নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে মারধর করছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। ওই ঘটনায় মারধরের অভিযোগে সাফির মা বেবি খাতুন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছিলো। মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, সোমবার সকালে বোয়ালদাহ গ্রামে সাফি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App