×

অর্থনীতি

ঈদের আগেই গার্মেন্টসে ছুটির নির্দেশনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমাতে ঈদের দুই-তিন দিন আগেই শ্রমিকদের ছুটি দিতে সদস্য কারখানার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমাতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে পোশাকশ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে কারখানার কার্যাদেশ, শিপমেন্ট (পণ্য জাহাজীকরণ) ও উৎপাদনের সঙ্গে সমন্বয় করে সুযোগ থাকলে ঈদের ছুটির দুই-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সাধারণ ডিউটি করিয়ে ঈদের বাড়তি ছুটি সমন্বয় করতে পারবে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তটি নিতে বলেছে বিজিএমইএ।

এছাড়া ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে মালবোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা, অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়া, তাড়াহুড়া করে সড়ক পারাপার না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু না খাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ। আর শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮-১০ জনের দল গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে।

বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় কোনো পক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হতে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করতে সদস্য প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে।

ছুটি নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিলেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি বিজিএমইএ। অথচ প্রতিবছর দুই ঈদে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App