টি-টোয়েন্টির বিশ্বরেকর্ড, ২৫৯ তাড়া করে জিতলো দ. আফ্রিকা

আগের সংবাদ

ফের ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়লো উত্তর কোরিয়া

পরের সংবাদ

রমজানে চা-রুটি খেয়ে বেঁচে আছে আফগানরা

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:২৮ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩ , ১২:২৮ অপরাহ্ণ

আফগানিস্তানে চরম অর্থনৈতিক দুদর্শার কারণে দেশটির সাধারণ মানুষ এই রোজার মাসেও কষ্টে দিন পার করছেন। সেহরি কিংবা ইফতার দুবেলাতেই খাবার প্লেটে জুটছে শুধু চা আর রুটি।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় বসার দেশটিতে দৈনন্দিন ব্যয় আর খাবারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষম হলেও বেকার হয়ে পড়েছেন। খবর আরব নিউজের।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটির ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ খাদ্য সহায়তার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই সহায়তাও সীমিত। কেননা বড় বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তালেবান সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। বেশির ভাগ দেশেই রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে সুস্বাদু খাবারের আয়োজন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কিন্তু বর্তমানে আফগান পরিবারগুলোর সেই সামর্থ্য নেই।

কাবুলের একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান ও সাবেক নারী মানবাধিকার কর্মী শামসিয়া হাসানজাদা বলেন, আগে আমরা ইফতার ও সেহরি তৈরি করতাম একসঙ্গে এবং শুধু নিজেদের জন্য নয়। নিরাপত্তাকর্মী ও আমাদের আশেপাশে বসবাসকারী লোকজনকে নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু গ্রিন-টি ও শুকনো রুটি ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই।

তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সবাই আগে কাজ করতো। কিন্তু এখন একজন কাজ করেন। এই একজনের আয় পুরো পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

আরেক মানবাধিকারকর্মী কারিশমা নাজারি বলেন, সারাদিন রোজা রাখা ও তারপরে ইফতার ও সেহরির জন্য কিছুই না থাকা আমার ও অধিকাংশ আফগান পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক। আমাদের বেশিরভাগেরই গ্রিন টি ছাড়া আর কিছুই নেই। আফগানিস্তানজুড়ে আমাদের অনেক ধনী লোকজন ছিল যারা অনেক দরিদ্র পরিবারকে দান ও সাহায্য করে আসছিল। তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এসব মানুষও দেশ ছেড়ে চলে যান।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়